আগের ম্যাচের মতো আবারও আঁটসাঁট বোলিং করলেন সাকিব আল হাসান। দলের জয়ে অবদান রাখলেন তিনি ব্যাট হাতেও। তবে লংকা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) অভিষেকে ভালো করতে পারলেন না বাংলাদেশের অন্য দুই ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস ও শরিফুল ইসলাম। বাঁচা-মরার ম্যাচে শরিফুলের কলম্বো স্ট্রাইকার্সকে আট উইকেটে হারিয়ে পেস্ন-অফে উঠেছে সাকিব-লিটনের গল টাইটান্স।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে ১৫.৪ ওভারে কলম্বো গুটিয়ে যায় স্রেফ ৭৪ রানে। এলপিএলের চার আসর মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। দ্বিতীয় আসরে জাফনা কিংসের বিপক্ষে তখনকার ডাম্বুলা জায়ান্টসের ৬৯ রান সর্বনিম্ন। পেসার লাহিরু কুমারা প্রথম দুই উইকেট নেওয়ার পর বাকি আটটি ভাগ করে নেন তিন স্পিনার তাবরাইজ শামসি, সেকুগে প্রসন্ন ও সাকিব।
বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার সাকিব ৩.৪ ওভারে স্রেফ ৮ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ডট বল খেলান তিনি ১৫টি। ৪ ওভারে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গলের সফলতম বোলার অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকান বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার শামসি। শ্রীলংকার লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার প্রসন্ন তিন ওভারে ১৪ রানে নেন তিনটি। কুমারার প্রাপ্তি দুই ওভারে ৯ রানে দুটি।
জবাবে গল লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৮.৩ ওভারেই। ১৫ বলে ২ চারে ১৭ রান করে দলের জয় নিয়ে ফেরেন সাকিব। ২৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৪টি চারে অপরাজিত ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন লাসিথ ক্রসপুল। লিটন ৪ বলে করতে পারেন ১ রান। ব্যাটিংয়ে প্রথম বলে আউট হওয়া শরিফফুল বোলিংয়ের সুযোগ পান কেবল এক ওভার। ৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন এই পেসার।
আর এই ম্যাচ দিয়েই এলপিএলে অভিষেক হলো লিটন ও শরিফুলের। আসরের শুরু থেকে শরিফুল কলম্বো দলের সঙ্গে থাকলেও খেলার সুযোগ পেলেন অবশেষে। তার দলের পথচলাও শেষ হয়ে গেল এখানেই। এই পর্বের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে লিটনকে দলে নেয় গল। তার সামনে সুযোগ থাকছে এখন পেস্ন অফে খেলার। আট ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা দুইয়ে থেকে প্রাথমিক পর্ব শেষ করল গল। বৃহস্পতিবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে ডাম্বুলা অরার বিপক্ষে খেলবে তারা। একই দিন এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে বি লাভ ক্যান্ডি ও জাফনা কিংস।