ইউরোপ সেরার লড়াই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নেই তো কী হয়েছে! এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো আছে। সেখানে অভিষেকেই জয় দেখেছেন আল নাসর তারকা। মঙ্গলবার রাতে ইরানিয়ান ক্লাব পার্সিপোলিসের বিপক্ষে দলকে ২-০ গোলে জেতাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাতে গ্রম্নপ 'ই' থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছ সৌদি ক্লাবটি।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেছেন ৫ বার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। এক মৌসুমে টানা বেশ কয়েকবার শীর্ষ গোলদাতা পর্তুগিজ এই তারকা। খেলেছেন ইউরোপা লিগেও। সেই ক্রিশ্চিয়ানো রেনোলদোর কাছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোন জায়গায় অবস্থান করবে, একবার ভেবে দেখুন! সৌদি ক্লাব আল নাসরের হয়ে এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরেও খেলতে হচ্ছে তাকে এবং মঙ্গলবার রাতেই প্রথম তিনি এই টুর্নামেন্টে খেললেন। ইরানি ক্লাব পার্সিপোলিসের বিপক্ষে খেলতে নেমে অভিষেকে শুভ সূচনা হলো তার।
২০১৬ সালের পর সৌদি কোনো ক্লাব এবারই প্রথম ইরানে খেলতে গেছে। ম্যাচটা হয়েছে তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে। তাও আবার দর্শকহীন স্টেডিয়ামে। পার্সিপোলিস দর্শকরা ২০২১ সালের এক কান্ডে এক ম্যাচের শাস্তি পেয়েছিলেন, যা মূলত সাহায্য করেছে আল নাসরকে। দুইবারের রানার্সআপদের বিপক্ষে দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। একটি গোল এসেছে ড্যানিয়েল ইসমাইলিফারের আত্মঘাতী থেকে। অপরটি করেছেন ডিফেন্ডার মোহাম্মদ কাসেম। রোনালদো গোল না পেলেও পুরো ম্যাচেই প্রভাব রাখার চেষ্টা করেছেন। প্রথমার্ধে দুবার কাছে গিয়েও গোল পাননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আবার দশ জনের দলেও পরিণত হয় পার্সিপোলিস। রোনালদোর বুটে পা মাড়িয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইরানি ক্লাবটির মিডফিল্ডার মিলাদ সারলাক। প্রথমার্ধে কোনো গোলই করতে পারেনি কেউ। আল নাসর প্রভাব বিস্তার করে খেললেও গোল আদায় করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে (৫২ মিনিটে) দ্বিতীয় হলুদ কার্ড সমান লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিষ্কার হন মিলাদ সারলাক।
আর ১০ জনের দল পার্সিপোলিসকে পেয়েই জ্বলে ওঠে যেন আল নাসর। ১০ মিনিট পরই তাদের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন ড্যানিয়েল ইসমাইলিফার। মার্সেলো ব্রোজোভিক পেনাল্টি এরিয়াতে বল পেয়ে সেটা এগিয়ে দেন আবদেল রহমান গরিবের কাছে। তিনি গোলের শট নেন। কিন্তু সেটা ইসমাইলিফারের পায়ে লেগে পার্সিপোলিসের জালে প্রবেশ করে। প্রথম গোলের ১০ মিনিট পর আবারও গোল। এবার মোহাম্মদ কাসেম আল নাখলি গোল করেন। ম্যাচ জয়ের পর আল নাসরের স্ট্রাইকার সাদিও মানে বলেন, 'এটা ছিল দারুণ একটি ম্যাচ। প্রথমার্ধ ছিল দুই দলের জন্যই কিছুটা কঠিন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে আমরা নিজেদের খুঁজে পাই।'