শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ই-কমার্স খাতে আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার :পলক

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
জুনায়েদ আহমেদ পলক

দেশের ই-কমার্স খাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও গ্রাহক আস্থা ফেরাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের আইসিটি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে সব ধরনের ই-বাণিজ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ইউনিক বিজনেস আইডি বা নিবন্ধনের আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে ভোক্তা অভিযোগ ও সমাধনে সফটওয়্যার প্রণয়নসহ নেওয়া হয়েছে বেশকিছু টেকনিক্যাল পস্নাটফর্ম চালুর পরিকল্পনা।

বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মপরিকল্পনার কথা জানান তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার প্রতিনিধি, আইসিটি বিভাগের সচিব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ই-ক্যাবের প্রতিনিধিসহ এটুআইর টেকনিক্যাল শাখার কর্মকর্তারা।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে সরকারের একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে ই-কমার্স খাতের মান উন্নয়ন ও অনিয়ম রোধে প্রযুক্তিকেই ব্যবহারই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষৎ বিশ্ব অর্থনীতিতে ইকমার্স খাতে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই সাম্প্রতিকালে ই-কমার্স খাতে বেশকিছু বিতর্কিত ঘটনায় যে সংকট তৈরি হয়েছে তা নিরসনে এবং আস্থা ফেরাতে সবাইকে শিগগিরই একই পস্নাটফর্মে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

পলক জানান, ইতোমধ্যে বাণিজ্যে মন্ত্রণালয়ের অধীন আইসিটি বিভাগ ইউনিক আইডি নিবন্ধনের জন্য একটি ই-পস্নাটফর্ম তৈরি করেছে। যেখানে ওয়েব সাইট, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবসহ সব ধরনের অনলাইন ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে হবে। এ ছাড়া মার্চের মধ্যে সেন্ট্রাল লজেস্টিক ট্রাকিং সফটওয়্যার, সেন্ট্রাল কম্পেলেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সলিউশনসহ লেনদেনে শতভাগ ডিজিটাল পস্নাটফর্ম ব্যবহারের পদ্ধতি চালু করা হবে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট্রাল লজেস্টিক ট্রাকিং সফটওয়্যার বিষয়ে এটুআই কর্মকর্তারা জানান, পণ্য বা সেবা প্রদানে সব ধরনের তথ্য যেমন পণ্যের ধরন, পরিমাণ, পরিবহণ ও তারিখসহ কিভাবে কিভাবে সেবাটি সম্পূর্ণ হলো তা সংক্রিয় পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া ডেটা সার্ভারে প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের পণ্য ও সেবার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর ফলে সেবা বা পণ্যে কোনো ধরনের অসঙ্গতি দেখা দিলেই তা সফটওয়্যারে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। যা সেবার মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি সব ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তারা আরও জানান, এ ছাড়া সেন্ট্রাল কম্পেলেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সলিউশন সফটওয়্যারে মাধ্যমে খুব সহজেই ভোক্তা তার সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবে। এজন্য গ্রাহককে প্রয়োজনীয় দলিল অভিযোগের জন্য সংযুক্ত করতে হবে। যা ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে