রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ

১০ কোম্পানি ঘিরে অধিকাংশ লেনদেন

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ১৯-২৩ মার্চ লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৩ টাকা, যার ৩৭.৬০ শতাংশই ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই ১০ কোম্পানিরই লেনদেন হয়েছে ৬৬২ কোটি ৫০ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। শেয়ারবাজার মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। বেড়েছে সব ধরনের সূচক।

ডিএসইতে সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ লেনদেন করেছে। দুই শেয়ারবাজারেই অপ্রতিরোধ্য সি পার্লের শেয়ার। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।

এছাড়া রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্স ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিং ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, শাইনপুকুর ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং আল-হাজ্ব টেক্সটাইল ২ দশমিক ২৭ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

সূত্র মতে, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৭৭৮ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫০৮ কোটি ২ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৮টির, দর কমেছে ৬৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬১টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ১৮টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২১৫ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক দশমিক ৭৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২১৮ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে একই পয়েন্ট ছিল। গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ৩০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে।

অন্যদিকে সিএসইর সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি ৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩০৮ কোটি ৩ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, দর কমেছে ৪৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৯টি কোম্পানির।

সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই ৫০ সূচক দশমিক ২১ শতাংশ, সিএসই ৩০ সূচক দশমিক ২২ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ১২ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৩ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৬৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৫৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচের শেয়ার। একাই ২৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এছাড়া বেক্সিমকো ৬ কোটি ৯ লাখ টাকা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, এইচ আর টেক্সটাইল ৩ কোটি ১ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ২ কোটি ১১ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা, রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্স ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা, ই-জেনারেশন ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স ১ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে