সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ছাদ বাগানে মিলবে কৃষি ঋণ

ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাকসবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয় তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

এখন থে?কে ছাদ বাগান করলে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ পাবেন গ্রাহক।

রোববার নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পলস্নী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ। নীতিমালায় ছাদ কৃষিতে অর্থায়ন যুক্ত করা হয়।

এ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালক কানিজ ফাতেমা, পরিচালক দেবাশীষ সরকারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।

কৃষি ঋণ নীতিমালায় বলা হয়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাকসবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয় তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, যাদের চাষের জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই কিন্তু নিজ হাতে কৃষি কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ছাদ কৃষি একটি উত্তম বিকল্প ব্যবস্থা। শহরাঞ্চলে বাড়ির ছাদে বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবারের দৈনন্দিন খাদ্যের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি ছাদ কৃষি পরিবেশ রক্ষা ও বায়ুদূষণ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

এর প্রেক্ষিতে ছাদ কৃষিতে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এ খাতের ঋণ দেওয়ার জন্য গ্রাহকের চাহিদা যাচাইবাছাই করে ব্যাংক কত টাকা ঋণ দেবে এবং কীভাবে আদায় করবে তা নির্ধারণ করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পলস্নী ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষি ঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

এবার কৃষি ও পলস্নী ঋণের চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা পলস্নী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংক ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা, কৃষি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক এক হাজার ৪৭ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

নীতিমালায় কৃষি ঋণ বিতরণে এনজিও নির্ভরতা কমাতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ) ও ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ ব্যবহার করতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার নূ্যনতম ৫০ শতাংশ হতে হবে। আগে তা ছিল ৩০ শতাংশ।

এছাড়া মৎস্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার নূ্যনতম ১৩ শতাংশ ও প্রাণিসম্পদ খাতে নূ্যনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে বলা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে