সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলো

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
একটি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা -ফাইল ছবি

তৈরি পোশাক খাতের ২০২টি গ্রিন ফ্যাক্টরি এবং ৫০টি শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায়। তাদের তালিকাভুক্তির জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রয়োজনীয় মূলধন উত্তোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এজন্য দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) মধ্যে বৃহস্পতিবার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ডিএসইর কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম সাইফুর রহমান মজুমদার এফসিএ এবং বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

সমঝোতা স্বাক্ষরের পরপরই ডিএসই ও বিজিএমইএ যৌথভাবে ২০২টি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ও ৫০টি শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে পুঁজিবাজারের সেবা প্রদান করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। শিগগিরই এ-সংক্রান্ত সিডিউল ঘোষণা করা হবে। বিজিএমই'র পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরপরই এ-সংক্রান্ত তালিকা হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, 'দিনটি একটি বিশেষ দিন। দেশের অর্থনীতির প্রধান দু'টি স্তম্ভ ডিএসই এবং বিজিএমই-এর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সহযোগিতা শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি বৃদ্ধিই নয়, এটি একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ।'

ডক্টর হাসান বাবু বলেন, 'বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বিজিএমই'র অধীন গার্মেন্ট কোম্পানিগুলোর বিশাল ভূমিকা রয়েছে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারও বিশাল ভূমিকা রাখছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো যত বেশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে, পুঁজিবাজার তত বেশি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অর্থায়ন মূলত ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এটি আসলে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে হওয়া উচিত। আর পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে ভালো ভালো গার্মেন্ট কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির প্রয়োজন। পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা ডিএসইর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম উদ্দেশ্য। আমরা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আপনাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা প্রয়োজনে আপনাদের সঙ্গে আবার বসব; যাতে আপনাদের পাশে নিয়ে গার্মেন্ট খাতের ভালো ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেওয়া যায়। আর এজন্য ডিএসই আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

ডক্টর হাসান বাবু উলেস্নখ করেন, বাংলাদেশের শীর্ষ গ্রিন ফ্যাক্টরিগুলো পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হলে বিদেশি ক্লায়েন্টের নিকট ব্র্যান্ডিং হবে এবং একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের মূল্যায়ন বেড়ে যাবে। কারণ বিদেশি গ্রাহকরা সব সময় পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি হওয়াকে অন্যতম গুণ হিসেবে মনে করে। এ বিষয়ে বিজিএমইএ'র প্রেসিডেন্টও একমত পোষণ করেন।

বিজিএমইএ'র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ২০২টি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ১৫ গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ১৩টি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেডিমেট গার্মেন্টের গুরুত্ব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ডিএসই ও বিজিএমইএ'র সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে উভয়পক্ষ পুঁজিবাজারের গভীরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি দেশের আরএমজি সেক্টরে ব্র্যান্ডিংয়ে ডিএসই কাজ করবে। এই চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ গ্রিন ফ্যাক্টরিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য ডিএসই প্রয়োজনীয় মূলধন উত্তোলনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও সেমিনারের আয়োজন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো সীমিত সংখ্যক ৫টি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে। অথচ আরও ১০০টি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে