আজকের যায়যায়দিন

ম নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম অফিস

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, ২০২৪ সালে স্মার্ট পোর্টে পরিণত হবে চট্টগ্রাম বন্দর। কোভিট-১৯ ও বিশ্বমন্দার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর তিন মিলিয়ন ক্লাবে রয়েছে। বে টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজও ২০২৪ সালে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বুধবার বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও সচিব ওমর ফারুক, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

রোববার অ্যাডমিরাল সোহায়েল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ লাখ ৪ হাজার ৫০৫ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। বছর শেষে ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম হবে। যা গত বছরের সমান। আশা করা হচ্ছে এ বছর কার্গো হ্যান্ডলিং ১২ কোটি টন ছাড়িয়ে যাবে।

শেয়ারবাজারে সূচকের বড় উত্থান, বাড়ল লেনদেন

তিনি আরও বলেন, বে টার্মিনাল আর স্বপ্ন নয় বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বে টার্মিনালের মাস্টারপস্ন্যানের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বে টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আবুধাবি পোর্ট গ্রম্নপ ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্থাব দাখিল করেছে। বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে আগ্রাহী হওয়ার পরেও বিশ্ব ব্যাংক বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল ১ ও ২ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে আগামী বছর চুক্তি সই হবে বলে আশা করছেন। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনাল হিসেবে গ্যাস ও অয়েল টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ টার্মিনালের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্থাব দিয়েছে। এটা হলে দেশে আগে ২৫ দিনের তেল রির্জাভের পরিবর্তে ২ মাসের তেল রির্জাভ রাখা যাবে। লালদিয়াচর কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনাল্‌স প্রস্থাব দিয়েছে, যা পিপিপি প্রকল্প হিসেবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।