চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত থেকে সাদিকুর রহমান (৩৫) নামে এক শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার সকাল ৯টায় উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের জামতলা ব্রিজের নিচে আন্তর্জাতিক ১৮৩ নম্বর মেইন পিলারের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি শাহাবাজপুর ইউনিয়নের উপরচাকপাড়া গ্রামের মৃত তৈয়মুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, সাদিকুর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে শ্রমিকের কাজ করতেন। সকালে জানতে পারি তার মরদেহ ব্রিজের নিচে পড়ে আছে। পরে আমি পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। তবে তিনি চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল কি-না জানা নেই।

সাদিকুর রহমানের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে আমার স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। রাতে আর ফেরেননি। সকালে জানতে পারি সীমান্তে তার মরদেহ পড়ে আছে। আমি গিয়ে দেখি গলায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্বামীর মরদেহ পড়ে আছে। তিনি কোনোদিন ভারতে যাননি। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংকে শ্রমিকের কাজ করতেন।’ সাদিকুরের মা রেফুল বেগম বলেন, ‘ছেলে কাল আমার সঙ্গে ভাত খেয়েছে। বিকেল পর্যন্ত বাড়িতেই ছিল। কিন্তু রাতে আর আসেনি। সকালে এলাকাবাসী মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমার ছেলে কোনো চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল না।’

৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া সীমান্ত এলাকায় একটি মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বলেন, সীমান্ত থেকে ফায়ারিং রেঞ্জের অনেক দূরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধানক্ষেতে মরদেহটি পাওয়া গেছে। এটি বিএসএফ রিলেটেড নয়।

কাপাসিযায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ

শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জুবায়ের আহাম্মদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা রাতে হয়তো ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিজিবিও সঠিক করে কিছু বলতে পারছে না। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব না। তবে মরদেহের গলায় একটা ছিদ্র পাওয়া গেছে।

যাযাদি/ এস