সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

দখল-দূষণে বিলীন হচ্ছে মির্জাপুরের বারখালী খাল

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল ও মির্জাপুর প্রতিনিধি
  ০১ জুন ২০২৩, ১৩:৩৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ঐতিহ্যবাহী বারখালী খাল দখল-দূষণে বিলীন হওয়ার পথে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে খালটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খালটি বিলীন হলে পৌর সভার মূল কেন্দ্র মির্জাপুর বাজারের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।

জানা গেছে, মির্জাপুর থানার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত বংশাই ও লৌহজং নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী খালটির নাম বারখালী। খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার এবং প্রস্থ গড়ে ১২৬ ফুট। এটা খাল হলেও হলেও এক সময় খরাস্রোত ছিল। বছরের পুরো সময়ই নৌকা চলাচল করত। মির্জাপুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নৌকায় মির্জাপুর সদরের হাটে আসতেন। আশির দশক থেকে খালটির দুই তীর ধীরে ধীরে দখল শুরু হয়। দখলকৃত স্থানগুলো একাধিকবার হাতবদল হয়ে বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। খালটির দুই তীর অব্যাহতভাবে দখলের কারণে এখন মাত্র ৫০ ফুট প্রস্থ অবশিষ্ট রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, মির্জাপুর বাজারের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম বারখালী খাল। কিন্তু দখলের কারণে নাব্যতা হারানো খালটিতে পানি নিষ্কাশনের পথ ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পুরো খাল কচুরিপানায় ভরে পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করে খালটির নাব্যতা ফিরিয়ে না আনতে পারলে বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতাসহ জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়বে।

মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী জানান, খালটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি। না হলে অদূর ভবিষ্যতে উপজেলা সদরের রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। ময়লা-আবর্জনায় জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়বে।

মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, মির্জাপুরবাসীর দাবির সঙ্গে প্রশাসনও একমত। অচিরেই খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল জানান, বারখালী খালটি খনন করে নাব্যতা ফেরাতে বিশ্বব্যাকের অর্থায়নে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ করে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে আর অগ্রসর হওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও প্রতিনিধি দল এসে সার্ভে করেছে। পরে তারাও কোনো যোগাযোগ করেনি। তবে খালটি রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে