সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে খাবার পানির ব্যবস্থায় নেই কার্যকর উদ্যোগ

মোঃ নুরুল হক কবির, হবিগঞ্জ
  ১২ আগস্ট ২০২৩, ১০:১৫

=হবিগঞ্জের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট নিরসনে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একাধিকবার নির্দেশনা দিলেও হয়নি দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা এ সংকটের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে বাইরে থেকে।

জানা যায়, গত ১৩ জুলাই হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে রোগীদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী এমপি।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উপস্থিত গণপূর্ত অধিদপ্তর, হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাঃ জাকির হোসেনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৫ দিনের সময়ও দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় একমাস পার হলেও নেয়া হয়নি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা। তাই প্রতিনিয়ত রোগীরা পড়ছেন খাবার পানি নিয়ে চরম বিপাকে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও অভিভাবকরা।

তারা বলছেন, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে সেবা নিতে এসে পানির জন্য চরম বিপাকে পড়ছেন তারা। বাধ্য হয়ে অনেক সময় বাইরে থেকে পানি আনতে হচ্ছে। অনেক সময় পান করতে হচ্ছে দূষিত পানি। এতে করে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দেয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বদরুল আলম যায়যায়দিনকে বলেন, হাসপাতালে সুপেয় পানির কোন ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের সামনে দোকান থেকে পানি নিয়ে ব্যবহার করি।

বাহুবল উপজেলায় নন্দনপুর এলাকা থেকে আসা কবির মিয়া জানান, আমরা গরিব মানুষ। দোকান থেকে পানি কিনে খেতে পারি না তার মাঝে পানি কিনে পশ্রাব পায়খানা করতে হয়। তাই সকাল বিকাল বিভিন্ন হোটেল থেকে পানি নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আমিনুল হক সরকার যায়যায়দিকে জানান, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিষয়টি একাধিকবার উত্থাপন করেছি। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নির্দেশনা দেওয়ার পর বেশ কয়েকবার গণপূর্ত বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে রোগীদের খাবার পানির ব্যবস্থা করবে।

যোগাযোগ করা হলে গণপূর্ত অধিদপ্তর, হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাঃ জাকির হোসেন যায়যায়দিনকে জানান, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে