বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেএক্সে মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় একজন মা আসেন। সম্ভাব্য ৩৪ সপ্তাহে বাড়িতে ভোর ৫ টায় নরমাল ডেলিভারি হয়। তারা বাচ্চাটিকে মৃত ভেবে কাপড় দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখে।
ওদিকে মায়ের অবস্থাও আশংকাজনক। মায়ের গর্ভফুল বের হচ্ছিল না।। প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল।এমতাবস্থায় তারা সকাল ৮.৩০ মিনিটে মা ও মৃত! বাচ্চাকে নিয়ে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আসেন। কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা: সিফাত সালেহ, এসএসএন ফরিদা ইয়াসমিন মিডওয়াইফ মর্জিনা বেগম সহ সবাই মিলে বাচ্চা ও মাকে পরিচর্যা করেন। বাচ্চাকে CPR, UMBO করার পর এক পর্যায়ে বাচ্চা নড়াচড়া করে উঠে।। তারপর oxygen inhalation, OP-NP suction করার পর বাচ্চা কিছুটা শ্বাস ফিরে পায়। রেডিয়ান্ট ওয়ার্মারে রেখে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়।
ওদিকে মাকে হাতে পায়ে ক্যানুলা করে স্যালাইন চালু করা হয়।৷ গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা শাহনাজ বেগম ম্যানুয়ালি প্লাসেন্টা রিমুভ করেন৷ মায়ের রক্তের গ্রুপ জানা না থাকায় জরুরি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। পরে জরুরি ভিত্তিতে এম্বুলেন্স এ করে মা ও বাচ্চাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়৷
একই সময়ে সকাল ৮ টায় হাসপাতালে আসার সময় এম্বুল্যান্স এর ভেতর এক গর্ভবতী মা তার বাচ্চা প্রসব করেন। বাচ্চার ওজন ১৬০০ গ্রাম।
তার পূর্বে একটি মেয়ে বাচ্চা সিজারিয়ান অপারেশন এর মাধ্যমে হয়েছিল। ডা: সিফাত সালেহ, মেডিক্যাল অফিসার, এসএসএন ফরিদা ইয়াসমিন মিডওয়াইফ বনানী আক্তার এমি ৪৫:মিনিটের প্রচেষ্টায় বাচ্চা এবং তার মা কে শুশ্রূষার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলেন।
সর্বশেষ বেলা ১ টা পর্যন্ত ১ম রোগীর খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, বাচ্চাকে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালের NICU তে রাখা হয়েছে ও তার মাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্ত দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামরুল হাসান সোহেল আজ দুইজন মা এবং দুইজন নবজাতকের জীবন রক্ষায় ভূমিকা পালন করায় মেডিকেল অফিসার ডা: সিফাত সালেহ, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা: শাহনাজ বেগম, এসএসএন ফরিদা ইয়াসমিন, মিডওয়াইফ মর্জিনা বেগম, মিডওয়াইফ বনানী আক্তার এমি সহ টিম বরুড়ার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
যাযাদি/এসএস