কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এক যুবককে নির্যাতনের পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ওইদিন রাতে উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম ছেলে মো. মাসুম (২৮)। তিনি উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া চকের বাড়ির মৃত মহরম আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতের মা মাসুদা বেগম জানান, বুধবার দুপুর ২ টার দিকে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মাসুম। আসর নামাজের পর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমার মেয়ে ফোন দিয়ে মাসুমকে বাড়িতে আসতে বলে।

গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

এ সময় ওই প্রান্ত থেকে এক লোক আমার মেয়েকে বলে- আপনার ভাই কালকে আসবে। তখন আমি কান্নাকাটি করতে থাকি। পরে রাত ৯টার দিকে খবর পাই আমার ছেলে দাউদকান্দির গৌরীপুর হাসপাতালে।

তিনি আরও জানান, দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি- আমার ছেলের সারা শরীরে নির্যাতনের দাগ এবং পায়ের রগ কাটা। দ্রুত ঢাকা নেওয়ার পথে মেঘনা এলাকায় পৌঁছলে ১১টার দিকে আমার মাসুম মারা যায়।

মাসুমের বৃদ্ধা মা কান্না করতে করতে বলতে থাকেন- ছেলে হত্যার সুষ্ঠ বিচার চান তিনি।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মাসুম মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। তাদের ধারণা মাদকের টাকা নিয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।

তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পারি দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা একাধিক হত্যা মামলার আাসামি শুক্কুর আলীর সাথে টাকা পয়সার লেনদেন ছিল মাসুমের।

এছাড়া ভিকটিম মৃত্যুর আগে ভিডিওতে বলে গেছে- কারা তাকে মারধর করেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি দ্রুত সময়ে হত্যার সাথে জরিতদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।

যাযাদি/ এম