রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কাপাসিয়ায় মাটি বেচাকেনার রমরমা ব্যবসা

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪০
কাপাসিয়ায় মাটি বেচাকেনার রমরমা ব্যবসা

গাজীপুওরর কাপাসিয়ায় ঘন কুয়াশার মধ্যে রাতের আঁধারে আমরাইদ ইয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের মাটি ও গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল হক জানান, গত ২৪ জানুয়ারি ভোররাতে আমরাইদ গ্রামের হান্নান সরকারের ছেলে রিপন সরকার, আনোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মাসুদ সরকার, মাহবুব সরকারের ছেলে সুজা সরকার, আক্কাছের ছেলে মোস্তফা কামাল বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পুকুর পাড়ের ১০ ফুট গভীর ও ৪০ ফুট প্রস্থ করে এক্সাভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে দেয়। একই সাথে ১৫০টি আকাশমনি গাছ ও ১৮০টি বাঁশ কেটে নেয়। এতে বিদ্যালয়ের ১০ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের পুকুর পাড় থেকে মাটি ও গাছ গাছালি কেটে নেওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইএনও) কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাটি কেটে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছি। গত চল্লিশ বছর আগে থেকে এই জায়গাটি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বলে আমরা জেনে আসছি। ১৯৮০ সালে পুকুর নির্মাণ করেছিলো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো বলেন, উপজেলার গিয়াসপুর এলাকার সেলিম মেম্বার এসব মাটি খরিদ করে কেটে নিয়েছে বলে জানা যায়। পরে সেলিম মেম্বার নিজেই আমাকে বলেছে, সে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মাটি খরিদ করেছেন।

লোহাদী গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, আমার বাড়ীর পাশের জমির মালিক মাটি বিক্রি করেছেন। এই মাটি নেওয়ার জন্য আমাদের গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করেছে ভেকু ও ডাম্প ট্রাক যাতায়াতের জন্য। মাটি ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেন, মাটি নিলে রাস্তা হবে। এতে মানুষজন চলাচলে সুবিধা হবে। এসব বলে রাস্তার পাশে কিছু গাছ কেটেছে মাটি ব্যবসায়ীরা।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল সরকার জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাটি এভাবে রাতের আধাঁরে কেটে নিয়ে যাবে এটা হতে পারে না। আমি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।

মাটি ক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, আমি কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি ক্রয় করে অন্যত্র বিক্রি করি। এই মাটি বিক্রেতারা অন্যায়ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাটি বিক্রি করেছে তা আমার জানা ছিলোনা। তিনি আরো বলেন, মাটি এখনো আমার জিম্মায় রয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি থেকে যারাই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে