সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাগেশ্বরীতে টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্কের দাবি গ্রাহকদের

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৬

নাগেশ্বরীতে টেলিটকের টাওয়ারে ফোরজি নেটওয়ার্ক যুক্ত দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এতে করে দেশের রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি গ্রাহক সাশ্রয়ী রেটে প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, অন্যান্য টেলিযোগাযোগ অপারেটরের পাশাপাশি দেশীয় অপারেটর হিসেবে টেলিটক সিম ব্যবহারে সাশ্রয়ী রেটে কথা বলতে পারলেও সচরাচর সব জায়গায় নেটওয়ার্ক পান না তারা। ২০০৪ সালে নাগেশ্বরীতে থ্রি-জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিটকের যাত্রা শুরু করলেও শতভাগ নেটওয়ার্ক সুবিধা দিতে ব্যর্থতার পথেই হাঁটছে টেলিটক। এছাড়াও সরকারি কোনো লেনদেন, স্কুল-কলেজে ভর্তি, নিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমে টেলিটক ব্যবহারের সরকারিভাবে নিয়ম থাকলেও পর্যাপ্ত নেটওয়ার্ক না পাওয়ায় সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

বর্তমান সময়ে অন্যান্য সকল অপারেটর ফোরজি হলেও নাগেশ্বরী শহরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মিত কে.ইউ.আর ০০০৮ জেলা সাইড কোড এর টাওয়ারটি এখন পর্যন্ত ফোরজি নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়নি। বেসরকারি মালিকানাধীন সকল অপারেটর যেখানে শতভাগ ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় সেখানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটক এখনও হাঁটছে পুরনো পথেই। বিষয়টি নিয়ে ওয়ান টু ওয়ান এবং জেলা কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রাহকরা। প্রত্যাশা, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের বৃহত্তর এ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে নির্মিত টেলিটকের টাওয়ারটিতে ফোরজি নেটওয়ার্ক যুক্ত করলে গ্রাহকরা সরকারি-বেসরকারিসহ সকল সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি দেশের ব্যাপক রাজ্স্ব আয় হবে।

যে সমস্ত এলাকায় টেলিটকের ফোরজি টাওয়ার রয়েছে সেই সমস্ত টাওয়ারের এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রচার মাইকিং দিয়ে টেলিটক বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ, প্রতিটি রিটেইলার যাতে অন্য অপারেটরের মতো অ্যাভেলেবল সিম ক্রয়-বিক্রয়, গ্রাহক সুবিধা যাতে রিটেলার থেকে পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা এবং মালিকানা পরিবর্তন করাসহ অন্যান্য সকল সুবিধা রাখার দাবিও জানান গ্রাাহকরা। অপরদিকে টেলিটকের ফোরজি অথবা ফাইভজি নেটওয়ার্কের পাশাপাশি বাংলালিংক রোমিং দ্রুত চালু করলে টেলিটকের গ্রাহক অধিকহারে বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছেন তারা।

নাওয়াডাঙ্গা এলাকার সাইফুর রহমান বলেন, আমি একটি টেলিটকের সিম কেনার পর সঠিক নেটওয়ার্ক এবং রিচার্জের ভোগান্তি থাকায় টেলিটকের সিমটি ফেলে রেখেছি। কেদার ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ রফিকুল ইসলাম, পৌরসভার বল্লভপুর এলাকার হাসান আলী সবুজ, কামারপাড়া এলাকার আমিনুর রহমান জানায়, তারা টেলিটকের সিম ব্যবহার করলেও সচরাচর সব জায়গায় পর্যাপ্ত নেটওয়ার্ক পান না। ইন্টারনেট ব্যবহারেও নেটওয়ার্ক সুবিধা নেই। এমনকী বিদ্যুৎ চলে গেলেও নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এতে প্রিয়জনদের সাথে তথ্য আদান প্রদানসহ সকল কার্যক্রমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়াও চলাঞ্চল এলাকাগুলোতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক একদমই নেই বলেও অভিযোগ তাদের।

এ বিষয়ে কথা বলতে কুড়িগ্রাম কাস্টমার কেয়ারে এশাধিকবার যোগাযোগকরা চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে