মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে প্রতিশ্রুতি অনুসারে খাদ্য পণ্য তৈরি না করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজারে সচেতনতামূলক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এ সময় প্রতিশ্রুতি অনুসারে খাদ্য পণ্য তৈরি না করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখিয়ে বেশি দরে পণ্য বিক্রয় করার অভিযোগে পূর্ব নোয়াগাঁওয়ে অবস্থিত পি কে এস এন্টারপ্রাইজকে ১৫ হাজার টাকা, নতুনবাজারে অবস্থিত মেসার্স স্মৃতি স্টোরকে ২ হাজার টাকা, মা-মনি স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ ফোর্সের সহায়তায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য দামে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৯ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।

 কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের তিন শীর্ষনেতা!

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি এবং নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রম পুরো রমজান মাসে চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে স্থানীয় ভোক্তারা বলেন শুধু জরিমানা করে তাদের ছেড়ে দিলে হবে না নুন্যতম তিনদিনের জেল হাজতে পাঠাবে হবে। এতে তাদের আর্থিক জরিমানাও হবে পাশাপাশি সাজাও পাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোক্তা বলেন, যাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে ওরা হলেন ফুটি মাছ, আসল রাগব বোয়ালরা রয়ে যান ধরা ছুয়ার বাহিরে।

জরিমানা আরোপ করার পর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আরো তৎপর হয়ে উঠে জরিমানার টাকা আদায় করার জন্য। বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা মুখ খুলেন না আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে, কারণ নগদে বাঁকিতে পন্য ক্রয় করতে হলে পাইকারি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কথা বললে বাকিতে মাল বিক্রয় করেন না। এর সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা আরো চড়া মুল্যে পণ্য বিক্রি করছেন ভোক্তা অধিকার আইনকে অমান্য করে।

যাযাদি/ এসএম