শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি

মতলব উত্তর প্রতিনিধি
  ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৬

মতলব উওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বেশি। ভৌগলিক অবস্থান এবং সেবা মান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রটি আস্থা অর্জন করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের বহিঃবিভাগ, আন্তঃবিভাগ এবং রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা। সেবার মান বৃদ্ধি এবং চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীদের আন্তরিকতার কারণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসে এই হাসপাতালে।

৩১ শষ্যা থেকে ৫০ শষ্যায় উন্নিত হওয়ার কার্যক্রম চলতেছে, বর্তমানে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তি থাকে ৪৫-৫০জন, মাঝে মাঝে এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬০-৬৫ জনের মধ্যে। প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান ঔষধের সরবরাহ এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কারণে প্রতিদিন হাসাপাতালের বহিঃবিভাগে সেবা নিতে আসে ৪৫০-৫০০ জন রোগী।

প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগী দেখার প্রস্থতি চলতেছে। এছাড়াও এন.সি.ডি কর্ণার, জিন এক্সপার্ট মেশিন, আট্রাসনোগ্রাম, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, এক্স-রে, দন্ত চিকিৎসা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য সেবার আইএমসিআই কর্ণার, যক্ষা রোগীদের সেবা ও ঔষধ বিতরণের ব্যবস্থা। প্রসুতি মায়েদের প্রসব পূর্ব ও পরবর্তী সেবা প্রদানে রয়েছে এএনসি কর্ণার। হাসপাতালটিতে প্রসূতি মায়েদের সেবায় চালু রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা।

যদিও বর্তমানে অপারেশনের চেয়ে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। সেবা নিতে আসা ভর্তি রোগীদের জন্য রয়েছে পুরুষ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড ও আইসোলেটেড ডেঙ্গু ওয়ার্ড। জেনারেল সার্জারির পাশাপাশি রয়েছে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষ এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। আর এই সকল সেবার জন্যই সেবা নিতে আসেন মতলব উত্তর এর সকল জনগণ,

সরেজমিনে সোমবার (১৮ মার্চ) হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ওটারচর গ্রামের মোঃ রফিক মিয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলাম তিনি কেন এই হাসপাতালে এসেছেন? উত্তরে তিনি জানান,‘ আমার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে। ভালো সেবা পাই, তাই এখানে চলে আসি। একই কথা বললেন, লবারকান্দি গ্রামে রহিমা বেগম। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গজরা গ্রামে শান্তা বেগম বলেন, হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করেছি, এখন রক্ত পরীক্ষার জন্য এসেছি।

ওটারচর গ্রামের লতিফ মিয়াজি জানান, ‘সরকারি হাসপাতাল সম্পর্কে আমার পূর্বের ধারনা পাল্টে দিয়েছে। এই সময়ে আমি আমার এক আত্মীয় তালুই কে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে সেবার মান ভালো’।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃআহসান হাবিব বলেন, প্রতিদিন অনুমতি সংখ্যার চেয়ে অধিক রোগী ভর্তি থাকছে, যার মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। এছাড়ার বহিঃবিভাগে ৪৫০-৫০০ রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। আমাদের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ রোগীদের সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল ‘৩১ শষ্যার লোকবল দিয়ে আমরা সেবার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ৫০ শষ্যার করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। হাসপাতাল পরিচালনায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা সকলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে