সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাত ধরে কাঁধে তুলে থানায় আনল পুলিশ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৪
ছবি-সংগৃহিত

অপরাধীকে ধরবে পুলিশ এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই আসামি পুলিশকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাবে সেটা তো সম্ভব না। এমন অবস্থায়ও পুলিশ হাল ছাড়েনি।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছদ্মবেশে জীবন মিয়া (৫০) নামে এক ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে তুলে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ডাকাত জীবন পুলিশকে কামড়ালেও হাল ছাড়েনি পুলিশ।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া জীবন মিয়া হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করেছিল।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। ডাকাত জীবনকে গ্রেফতারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রুপন নাথ আরো একজন কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছিলো। তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে ইফতার করার জন্য পানি চায়। তখন এক পর্যায়ে জীবনকে আটক করে পড়ানো হয় হাতকড়া। এ সময় জীবন মিয়া পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্যও ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে।

তখন এএসআই মো. কামরুল তাকে ধরে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে এস.আই রূপন নাথ জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। জীবন খুবই ধুর্ত। সে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জীবন ডাকাত খুবই ধুর্ত প্রকৃতির। তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিলো না। গোপন সংবাদে এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে