সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনীর সোনাগাজীতে বড় ভাইকে খুন করে পালিয়ে শেষরক্ষা হলো না

ফেনী প্রতিনিধি
  ২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:২৫

ফেনীর সোনাগাজীতে বড় ভাইকে খুন করে পালিয়ে শেষ রক্ষা হলো না।

সাতকানিয়া থেকে গ্রেপ্তার বড় ভাইকে খুনে অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন ।সোমবার দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ সাতকানিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে, বড় ভাইকে খুনে অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন।

ফেনীর সোনাগাজীতে বাগানের ঝরা পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার একপর্যায়ে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে বড় ভাই ইব্রাহিম খলিলকে (৩৯) খুন করেছিলেন মো. মোশারফ হোসেন ওরফে সবুজ (৩৭) নামের এক তরুণ। ১০ মার্চ ইব্রাহিমকে মাথায় আঘাতের পর ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পরপরই সোনাগাজী থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চলে যান মোশারফ। সেখানে একটি ইটভাটায় কাজও নেন। তবে পালিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সোনাগাজীর পুলিশ আজ সোমবার সকালে তাঁকে সাতকানিয়ার কেরানীহাটের একটি ইটভাটা থেকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত ইব্রাহিম খলিল ও তাঁর হত্যায় অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চর চান্দিয়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর মোশারফ হোসেন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় গিয়ে চট্টগ্রাম ব্রিকফিল্ড নামে একটি ব্রিকফিল্ডে কাজ নেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সোনাগাজী মডেল থানা-পুলিশের দুটি দল সোমবার সকালে সেখানে অভিযান চালিয়ে মোশারফকে গ্রেপ্তার করে।

ওসি সুদ্বীপ রায় আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশারফ হোসেন তাঁর বড় ভাইকে মাথায় আঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সোমবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৯ মার্চ বিকেলে উপজেলার পশ্চিম চর চান্দিয়ায় বাড়ির পাশের একটি বাগানে গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে তাঁর ভাই মোশারফের কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন আবারও একই বাগানে পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার একপর্যায়ে মোশারফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সুলাতানা আক্তার ইব্রাহিম খলিলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ইব্রাহিম খলিলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল নেন। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ১৫ মার্চ শুক্রবার রাতে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে দেবর মোশারফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সুলতানা আক্তারকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে