সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:২০
আপডেট  : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কানের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ ভাই-বোনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে রিনা আক্তার এবং তার ভাই আবদুল জলিল। আটক রিনা আক্তার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১নং কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও ১ ঘন্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে প্রশ্নের উত্তর পত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকে। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে দেহ তল্লাশী করে বিশেষ কায়দায় কানের ভিতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেক্টনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ ঘটনাস্থলে পৌছে পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, এই ডিভাইস তার বড় ভাই তাকে দিয়েছে পরীক্ষা দিতে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাইকে খবর দিয়ে আনা হয়। দুইজনকে পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার দেয়া তথ্য মতে পরে তার ভাই আবদুল জলিলকেও আটক করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে শুক্রবার সকালে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পৌর কলেজের ১০১ নম্বর কক্ষে রিনা আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অবৈধ পন্থা (কানের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস) নিয়ে প্রবেশ করে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় ওই পরীক্ষার্থী উত্তর পত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকে। এতে তাকে সন্দেহ হয়, পরে তাকে তল্লাশি করে তার কান থেকে খুবই ছোট একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে পরিক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ মিনিট দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করতো। এটি একটি বিশাল চক্র। সে তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করে। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় যেহেতু একটি ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে, এর সাথে আর কে কে আর জড়িত তা তদন্ত করে জানতে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পৌর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করবেন। আটক দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আটক ভাই-বোন। ছবি : যায়যায়দিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে