কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জলাতঙ্ক রোগের পর্যাপ্ত টিকা সংরক্ষণ ও বেওয়ারীশ কুকুর রোধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ফুলবাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি/৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বন্ধু সংগঠন বন্ধুপ্রিয়/৯৭-এর উদ্যোগে ফুলবাড়ী ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুমের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ইউএনও’র কাছে স্মারক লিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বন্ধ্রপ্রিয়/৯৭-এর ইউনুছ আলী আানন্দ, কবিদুল ইসলাম, আশরাফুল হক হারা, সঞ্জয় কুমার গোস্বামী মোজাম্মেল হক প্রমূখ।
স্মারক লিপি হাতে পেয়ে ফুলবাড়ী ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুম সংগঠনটির এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান ও স্মারক লিপির দাবি গুলো বিবেচনা স্বাপেক্ষে পদক্ষেপ গহণেরর আশ^াস দেন। এই স্মারক লিপির অনুলিপি কপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ও সকল ইউপি চেয়ারশ্যান বরাবর প্রেরণ করা হয়।
শনিবার ২০ এপ্রিল সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ফুলবাড়ী বাজারে ও ব্রাকমোড় সংলগ্ন কাশিয়াবাড়ী, কদমতলা ও ফুলসাগর এলাকায় একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু-বৃদ্ধ মিলে প্রায় ১৫ জন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরে ঘাতক পাগলা কুকুরটিকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। কুকুরের কামড়ের শিকার আহতদের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- কাশিয়া গ্রামের আইনুল হকের শিশু পুত্র মবিন (৪), মইনুল হকের শিশুকন্যা মিম (৯), একই এলাকার এরশাদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আলী (১৫), সুরুজ মিয়ার স্ত্রী নুরনাহার বেগম (২৫) ও বৃদ্ধ আনছার আলীসহ (৮০) প্রায় ১৫ জন।
প্রতক্ষদর্শী এলাকাবাসী খাতুল্লা মিয়া জানান, পাগলা কুকুরটি হিং¯্র ছিল। সে যতজনকে আক্রমণ করেছিল তা বাঘের মতো লাফ দিয়ে আক্রমণ করেছে। আমরা এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাগলা কুকুরটি মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছি।
এনছার আলী নামের অপর প্রতক্ষদর্শী জানান, ফুলবাড়ীতে ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসা পাগলা কুকুর গুলো হিং¯্র। এরা মানুষ ও গবাদী পশু গরু-ছাগলের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। শুক্রবার ও শনিবার আক্রমনাক্তক দুইটি পাগল কুকুরকে এলাকাবাসী মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ সুমন কন্তি সাহা জানান, ফুলবাড়ীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত রোগীদের সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে এসব রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে ও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কারন- এখানে জলাতঙ্ক রোগের টিকার অভাব।
যাযাদি/এসএস