রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পুলিশ হেফাজতে আসামী নির্যাতনের অভিযোগে ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  ০৬ মে ২০২৪, ১৯:১৩
সংগৃহীত ছবি

থানা হেফাজতে আসামি নির্যাতনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি করেন নির্যাতনের শিকার আব্দুল বারেক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীর জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল বারেক কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের প্রয়াত হাসেম ব্যাপারীর ছেলে এবং ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল হোসাইন জানান, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামী দেখিয়ে আব্দুল বারেকসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় এনে পুলিশ নির্যাতন করে । পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হলে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।

আইনজীবী জামাল হোসাইন বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল বারেক বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুৃলিশের হেফাজতে নির্যাতনের এ অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ সমর্থক আবদুল বারেক পক্ষ ও সতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার সমর্থক কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।সেদিন পুলিশ পরিস্থি নিয়ন্ত্রন করতে গেলে আবদুল বারেক পক্ষ থানার ওসি ও পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালায়।এতে ওসিসহ আহত হন ৯ পুলিশ।সে ঘটনার ঘটনার দিন রাতেই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান বাদী হয়ে আবদুল বারেকসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করা হয়।সে মামলায় আবদুল বারেকসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা ও নির্যাতনের বিষয়ে জানতে সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।

বিষয়টি নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার(সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন,ঘটনায় যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখন আমি ট্রেনিংয়ের কারনে সিরাজদিখান ছিলাম না।তবে আজ(রোববার) আদালতে একটি পিটিশন হয়েছে এবং আদালত সেটি অনুসন্ধানের জন্য দিয়েছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ সমর্থক বারেক চেয়ারম্যান গ্রুপ ও গোলাম সারোয়ার কবীর সমর্থক গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে থানার ওসি ও পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশকে পিটিয়ে আহত করায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

যাযাদি/এস এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে