রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সাতকানিয়ায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০৬ মে ২০২৪, ১৯:১৯
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ওপর তাণ্ডব বইয়ে দিয়েছে কালবৈশাখী। গতকাল রবিবার (৫ মে) সকাল ৭ টায় শুরু হওয়া ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। প্রবল বাতাসে গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

প্রায় ৩০ মিনিট তান্ডব চালিয়ে যাওয়ার পর কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দৃশ্যমান হয়। উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে ঝড় ও বাতাসের আঘাতে বেশ কিছু ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। ধানক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন সড়ক-উপসড়ক ও ঘরবাড়ির ওপর গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

বাজালিয়া ইউনিয়নের বড়দুয়ারা গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, সকাল ৭ টার দিকে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি ও প্রবল বেগে বাতাস শুরু হয়। এ সময় ঘরের ওপর বড় আকাশমণি গাছ ভেঙে পড়ে। আতঙ্কিত স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার চিন্তা করছিলেন। এ সময় বজ্রপাত শুরু হয়। এত আর বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। খাবার ও কিছু আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। একই ইউনিয়নের কলঘর ও আনুরঘোনা এলাকার বেশ কিছু মানুষের একই রকম ক্ষতি হয়েছে।

একই এলাকার বিধবা হাসিনা আকতার বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার কাজ করছিলেন। হঠাৎ প্রবল বেগে বাতাস সাথে ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। নিমিষেই বাড়ির পিছের চালা বাতাসে উড়ে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। অল্প কিছুদিন আগে বাড়িটি মেরামত করেছি। স্বামীও বেঁচে নেই। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বলেন, ওই ইউনিয়নের বেশ কিছু ঘরবাড়ি ঝড় ও বাতাসে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ক্ষেতের ফসল ও মৌসুমী ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাঁশবুনিয়া এলাকার পাহাড়ি বনাঞ্চলের জমিতে বাস করে প্রায় কয়েক শতাধিক পরিবার। তাদের কিছু কিছু বাড়িঘরে ক্ষতি হয়েছে বলে জানান নুরুন্নবী, আবছার, আইয়ুব, রুবেলসহ কয়েকজন। তারা বলেন, এসব ঘরবাড়ি মেরামতের সামর্থ্য অনেকের নেই। কারন তারা বন থেকে শুকনো কাঠ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও একটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে গেছে ফলে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ শূন্য হয়ে পড়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করা হবে।ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা দুর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তাদের সহায়তা করা হবে।

যাযাদি/এস এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে