চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌর সদরে কালবৈশাখী ঝড়ে এবং হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকায় ৫টি বড় গাছ পড়ে মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা বন্ধ ছিল।
এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী সডকে আটকা পরছে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস ও মানবাহীসহ বিভিন্ন ধরনের যান। এদিকে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে মহাসড়ক থেকে গাছ ডাল পালা সরানো গেলেও যান চলাচল করছে অতিধীর গতিতে।
ফলে মহাসড়কে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ৬ মে সোমবার বিকেল আনুমানিক ৩ টার পরে কালবৈশাখী ঝরে মহাসড়কে গাছ পড়ার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়।
গাছগুলো সরানোর পর যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। এদিকে স্থানীয়রা জানান কালবৈশাখী ঝড়ে হঠাৎ করে মহাসড়কের উপর বড় ধরনের ৪-৫ টি গাছ পড়ে গেলেএতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর এক ঘন্টার ও বেশি সময় ধরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা এবং হাইওয়ে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে গাছগুলো সরানো হয়। তারপরও যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হলেও ধীরগতিতে চলছে বিভিন্ন ধরনের যান।
এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে .এম রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন কালবৈশাখী ঝড়ে এবং দমকা হাওয়া চলাকালীন সময়ে পৌরসভাধীন পন্থিছিলা এলাকার মহাসড়কের উপর কয়েকটি বড় ধরনের গাছ পড়ে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অনেক চেষ্টায় মহাসড়ক থেকে গাছগুলো সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এছাড়া আর কোথাও বড় ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
যাযাদি/ এম