ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে অনেক গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। এতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই কালবৈশাখীর ঝড়ে বোরো ধান সহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল যেমন, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে ঝড় শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটার সময় শেষ হলেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের তান্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। শত শত হেক্টর জমির পাকা ধান জমিতে ভাসমান হয়ে রয়েছে, আম, কাঁঠাল ও লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন পুরো উপজেলা বেশীর ভাগই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

উপজেলার কৃষক আকবর মিয়া জানান, দুপুরে দিকে আকাশ কালো করে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সাথে প্রচন্ড বজ্রপাত। এতে মানুষ ভয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। আমার বোরো ধান বাতাসে জমিনে বিছিয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আমার অনেক গাছ বাতাসে ভেঙে পড়েছে।

আরেক কৃষক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘরের উপরের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া বাড়ির বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়েছে।

সংবাদকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হকের মতবিনিময়

দাগনভুঞা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, কালবৈশাখীর তান্ডবে পুরো উপজেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের বড় বড় খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। এ ছাড়া গাছের ডাল পড়ে তার ছিড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা মেরামতের কাজ করছি এবং সংযোগ প্রদানে অব্যাহত চেষ্টা রয়েছে।

দাগনভুঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মহি উদ্দিন মজুমদার জানান, ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছেন।

যাযাদি/ এম