গাজীপুরের বাসন সড়ক এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় এনসিপির সদর থানার আহ্বায়ক খন্দকার আল আমিন বাদী হয়ে বাসন থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এনসিপির নেতারা বাসন থানায় উপস্থিত হয়ে সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহার দায়ের করেন। পরে সন্ধ্যায় ১০০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিদের আসামি করে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন খান।
মামলায় বলা হয়, রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে কাঁচ ভেঙ্গে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
মামলার বাদী খন্দকার আল আমিন বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা মেনে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমরা বাসন থানায় মামলা দায়ের করেছি। মামলায় একশো জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত নামাদের আসামি করা হয়েছে। তবে আমরা চাই কোন নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানি না হয়। প্রকৃত অপরাধীদের যেন দ্রুত ধরা হয় পুলিশ প্রশাসনকে সেই অনুরোধ করছি।
এবিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি খন্দকার আল—আমিন জানান, হামলার পর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে। কোথায় থেকে কাকে আটক করছে কিছুই বলতে পারছেন না তিনি। তার দাবি অসহায় বা নিরপরাধ কাউকে যেন আটক করা না হয়। পরে, সন্ধ্যা ১০টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এর আগে, এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর গাজীপুরে হামলার ঘটনায় অন্তত ৫৪ জনকে আটক করে পুলিশ। রোববার থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় এখনও অভিযান চলছে বলে জানান মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) জাহিদ হাসান জানান, আটককৃতদের বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সালনার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাজ শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে জ্যামে আটকে থাকা অবস্থায় ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল যোগে হামলা করা হয় তার গাড়িতে। এতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। আহত হন হাসনাত। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।