মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দুই ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ

কলকারখানা-ডিআইজি'র কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ১২ মে ২০২৫, ১৮:২৩
ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দুই ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন রোর ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা: ছবি যায়যায়দিন

ময়মনসিংহের ভালুকায় বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রোর ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি কারখানার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক।

সোমবার (১২মে) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার কাঠালী পল্লী বিদ্যুত এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

শ্রমিকদের অন্য দাবিগুলো হলো- দুই মাসের বকেয়া বেতন প্রদান, গত ঈদুল ফিতরের বোনাস প্রদান এবং চাকরি অবসানের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা।

আন্দোলনের সময় কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পাওয়ায় কলকারখানা ডিআইজি'র কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

শ্রমিক ও পুলিশ সুত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদুল ফিতরের বোনাসসহ চাকরি অবসানের চূড়ান্ত পাওনাদি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে গতকাল রোববার (১১মে) পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সেসব পরিশোধ করেনি।

কাখানার জুনিয়র অপারেটর তোফায়েল আহমেদ বলেন, শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ না করেই গত ২৬ মার্চ লে-অফ ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা লিখিতভাবে বকেয়া পরিশোধে আশ্বাস দেয়।

কিন্তু তা কার্যকর করেনি। এমনকি কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সামনে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি।

তাই মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন শ্রমিকরা।

এদিকে, দীর্ঘ সময় অবরোধের কারণে ফোর ল্যান মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ সময় দূরপাল্লার যাত্রীরাও পড়েন চরম ভোগান্তিতে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, মডেলা থানা পুলিশ, হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পাওয়ায় কলকারখানা ডিআইজি'র কার্যলায় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শিল্প পুলিশ ময়মনসিংহ-৫ এর পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার জানান, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে।

কারখানা মালিক দেশের বাইরে থাকায়, মালিকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

ইতিমধ্যে তারা জানিয়েছেন ব্যাংক লোন নিয়ে দ্রুতই কারখানা চালু করা হবে। এবং আমরা চেষ্টা করছি আগামী ২৫মের মধ্যে যেন শ্রমিকদের সব বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা যায়।

এদিকে শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন তাদের বেতন বকেয়া থাকায় বাসা ভাড়া ও দোকান বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেন না। অনেক শ্রমিকের ঘরে খাবার পর্যন্ত নেই। ধারদেনা করে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন।

যাযাদি/এল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে