শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
উদযাপন কমিটির বৈঠক

তৃণমূলেও হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান

২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শত বছর পূর্ণ হবে। ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ 'মুজিব বর্ষ' ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ
যাযাদি রিপোর্ট
  ২১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা করেন। পাশে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত -ফোকাস বাংলা

মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঠিক ইতিহাস সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে তৃণমূল পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কথা বলেন। তিনি বলেন, 'জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যেন উদযাপিত হয় তারই উদ্যোগ আমরা নেব। মানুষ যেন সঠিক ইতিহাসটা জানতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয় এবং বাংলাদেশকে যেন আমরা সারা বিশ্বের কাছে মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে পারি।' ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সে কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ 'মুজিব বর্ষ' ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে তার স্বপ্নের 'সোনার বাংলাদেশ' গড়াই সবার প্রতিজ্ঞা হোক, সেই প্রত্যাশা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু জীবনের সব কিছু ত্যাগ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কষ্ট স্বীকার করেছেন। তার কষ্টের ফসল হিসেবে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন দেশের মর্যাদা।' দুই দশকের বেশি সময় এদেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুকে আড়াল করার চেষ্টার কথা উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দুর্ভাগ্য হলো একটা সময় ছিল ভাষা আন্দোলনে তার (বঙ্গবন্ধু) অবদান একেবারে মুছে ফেলা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে তার যে অবদান সেটা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ২১ বছর এদেশের মানুষ জানতে পারেনি। 'আসলে সত্যকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। সত্য কখনো না কখনো উদ্ভাসিত হবেই। তার স্থানটা সে করে নেবেই। কাজেই আজকে কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই প্রমাণটা পাচ্ছি।' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে