শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ অভিবাসীদের সরাসরি বের করে দেয়া উচিত: ট্রাম্প

জ্জ ‘এসব লোককে আমাদের দেশ দখলের অনুমতি দিতে পারি না’
যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৬ জুন ২০১৮, ১০:৫৩
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী অবৈধ অভিবাসীদের কোনো প্রকার বিচারিক প্রক্রিয়া বা আদালতের আশ্রয়ে না পাঠিয়ে সরাসরি বের করে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার এক টুইটে তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন, কোনো রকম বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তাদের অবিলম্বে নিজেদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত। সংবাদসূত্র : সিএনএন, রয়টাসর্

মাকির্ন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব লোককে আমরা আমাদের দেশ দখলের অনুমতি দিতে পারি না। যখন কেউ আসবে, তখন কোনো বিচারকের কাছে পাঠানো বা আদালত ছাড়াই তারা যেখান থেকে এসেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সেখানে ফেরত পাঠাতে হবে।’ ট্রাম্প তার মন্তব্যে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে গোপনে ঢুকে পড়া অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বণর্না করেছেন।

অভিবাসী অধিকার বিষয়ক আইনজীবীরা ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো মাকির্ন সংবিধানবিরোধী হবে। কেননা, মাকির্ন সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও সেখানে অবস্থানরত সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।

গত সপ্তাহে তীব্র সমালোচনার মুখে অভিবাসী শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা বলেন ট্রাম্প। ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার ঢেউ না থামতেই নিজের নতুন অবস্থানের কথা জানান দিলেন ট্রাম্প।

এর আগে মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার ওই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বতর্মান ফাস্টর্ লেডি, রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের নেতারা। এমনকি তার মেয়ে ইভানকাও বাবা-মার কাছে থেকে শিশুদের আলাদা করে রাখার নীতি মেনে নিতে পারেননি। ক্ষুব্ধ হন সাধারণ মাকিির্নরাও। মাকির্ন ক্যাথলিক বিশপরাও এক বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ওই নীতি ‘ক্যাথলিক মূল্যবোধের বিপরীত’ এবং ‘অনৈতিক’। দেশের বাইরেও ক্যাথলিক ধমর্গুরু পোপ ফ্রান্সিস এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও এর সমালোচনা করেন। ফলে চাপের মুখে ট্রাম্প সন্তান বিচ্ছিন্নকরণ ঠেকাতে নিবার্হী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারকে একত্রিত রাখতে চাই। তবে একইসঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, আমাদের খুবই শক্তিশালী সীমান্ত রয়েছে এবং আমরা খুবই কঠোর।’

অতীতে দেখা গেছে, যেসব মানুষ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতেন এবং অপরাধের কোনো রেকডর্ ছিল না, তাদের আইনের আওতায় অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত না করে শুধু অস্থায়ীভাবে আটক করা হতো। কিংবা বিতাড়িত করার সুপারিশ করা হতো। মা ও শিশুরা সাধারণত একসঙ্গেই থাকত। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সব ধরনের অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীর বিরুদ্ধে আইনগত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করার প্রথম ছয় সপ্তাহেই প্রায় দুই হাজার ৩৪২ শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অতীতে এমন নজির দেখা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে