বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠক মত

নতুনধারা
  ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
পাঠক মত

পরিবেশবান্ধব পযর্টন শিল্প প্রয়োজন

পযর্টনই একমাত্র শিল্প যেটা কি না জলবায়ু পরিবতের্নর দ্বারা সরাসরি বিপযর্স্ত। পযর্টন শিল্প বিকাশের জন্য চাই সুন্দর, দূষণমুক্ত, গুণগত মানসম্পন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ। দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পযর্টন রক্ষা ও সৃষ্টি দু-ই জলবায়ু পরিবতর্ন মোকাবেলায় কাযর্কর ভ‚মিকা রাখতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

অন্যদিকে সুন্দর ও দূষণমুক্ত জলবায়ু পযর্টন শিল্পের অন্যতম উপাদান। যেমন- সমুদ্র সৈকত, ঋতু এবং সবুজ অরণ্য প্রভৃতি। জলবায়ু পরিবতর্ন বিষয়টি পযর্টকদের ভ্রমণস্থান, গমন ও গমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা পালন করে। পযর্টকদের ব্যাপক আনাগোনা যখন পরিবেশ দূষণ ও বিপযর্য় ঘটতে সাহায্য করে তখন পযর্টন-নিভর্র ছোট-বড় দেশগুলো অথৈর্নতিক ভারসাম্যহীনতায় পড়ে। জলবায়ু পরিবতের্ন পযর্টন নিভর্র যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর, কেনিয়া ও শ্রীলংকা অন্যতম। এমনকি জলবায়ু পরিবতের্নর ফলে আমেরিকাতে ও পযর্টন শিল্পে ধস নেমেছিল।

পযর্টনের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বিশ্ব পযর্টন সংস্থা এক সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই সম্মেলনে পরিবেশবান্ধব পযর্টন শিল্প গড়ে তোলার জন্য এক আন্তজাির্তক খসড়া প্রস্তাব অনুমোদিত হয় যা এজেন্ডা ২১ নামে পরিচিত। এ এজেন্ডায় অথৈর্নতিক উন্নয়নে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অবদানের কথা গুরুত্বসহকারে দেখানো হয়েছে। পরিবেশ বিপযের্য় সারাবিশ্বে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা, রোগ, অশিক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজেন্ডা ২১ বাস্তবায়নে উল্লেখিত সমস্যার তড়িৎ সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের ডেভোস সম্মেলনে শ্রীলংকা নিজেদের ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ বলে ঘোষণা দিয়েয়ছিল। এ ঘোষণা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য জলবায়ু বিপযর্স্ত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবতর্ন মোকাবেলায় দারুণভাবে উৎসাহিত করবে বলে প্রতীয়মান হয়।

বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবতর্ন মোকাবেলার জন্য আরো বেশি বিভিন্ন কমর্সূচি গ্রহণ ও প্রণয়ন করা জরুরি বলেই আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশকে জলবায়ু পরিবতর্ন মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তজাির্তক পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। জলবায়ু ও পযর্টন সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি বিভাগকে একসঙ্গে এ বিষয়ে উদার হয়ে কাজ করতে হবে। জ্বালানি, রাষ্ট্রীয় কাঠামো, শিল্প, যানবাহন, নিমার্ণ, গৃহস্থালি কাজকমর্, পানি নিষ্কাশন, কৃষি, সবোর্পরি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সবর্ত্রই জলবায়ু পরিবতের্নর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

শহীদুল ইসলাম

ঢাকা

ভ‚মিকম্পের সময় করণীয়

ভ‚মিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার ফলে জানমালের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এ সময় মাথা ঠাÐা রেখে নিরাপদ স্থানে বা খোলা জায়গায় আশ্রয় নেয়া উচিত। দ্রæত ঘর থেকে বেরিয়ে পড়া দরকার, পাকা ভবন, দেয়াল, বড় গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি ইত্যাদি থেকে দূরে অবস্থান নেয়া ভালো। স্টিলের আলমারি, শোকেস, কাচের আসবাবপত্র ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে।

ভবনের উপরের তলায় থাকলে কম্পন/ঝঁাকুনি পযর্ন্ত অপেক্ষা করা উত্তম। কোনো অবস্থায় লাফ দিয়ে নামার চেষ্টা করা ঠিক নয়। কম্পন/ঝঁাকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রæত বেরিয়ে পড়তে হবে। ঝঁাকুনির সময় বের হতে না পারলে শক্ত টেবিল অথবা ডেস্কের নিচে আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। ইটের গঁাথুনির পাকা ঘর হলে ঘরের এক কোণে আশ্রয় নিন।

ভ‚মিকম্পের সময়ে উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে দুযোর্গ অনেকটা এড়ানো সম্ভব।

মোরশেদুল হক

শান্তিনগর, ঢাকা

সন্তানদের ব্যাপারে বাবা-মায়ের সচেতন হওয়া জরুরি

১৫ বছরের মেয়ে পলি (ছদ্মনাম)। সবেমাত্র বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত হয়েছে। অথচ মেয়েটি এমন কাÐ করলো যা শুনে সবাই অবাক। একদিন পলির মা পাশের বাড়ি থেকে এসে দেখে, পলি শাড়ি দিয়ে গলা বেঁধে ঝুলে আছে। তার মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোক এসে পলিকে রক্ষা করে। আরেকটু বিলম্ব হলেই নিশ্চিত মৃত্যু। পরে সবাই জানতে পারে, তিন মাস হলো সে একটি ছেলের সঙ্গে সম্পকর্ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই ছেলেটির সঙ্গে ফোনে কথা হতো এবং দেখা হতো। কিন্তু তিনদিন ধরে ছেলে তার সঙ্গে ফোনে কথা না বলায় সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছে। পলির মা-বাবা এসবের কিছুই জানতেন না। সামাজিকভাবে তাদের এখন হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। মেয়েকেও কিছু বলতে পারেন না, পাছে মেয়ে আত্মহত্যা করে।

আসলে এ পরিস্থিতির জন্য পলি একা দায়ী নয়, বরং তার মা-বাবাও অনেকাংশে দায়ী। ব্যস্ততার কারণে তারা তাদের মেয়েকে সময় দিতেন না। মেয়ে স্কুলে যায় কি না, তারও খেঁাজ নিতেন না। উল্লেখ্য, পলি ছিল অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এ বয়সের ছেলেমেয়েরা সাধারণত বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে এবং বিচিত্র খেয়াল ও ভাব জন্মে থাকে। কৈশোর শেষে তাদের মধ্যে যৌবন আসতে থাকে। উচ্ছৃঙ্খল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে এ বয়সে বেশি। তাই উঠতি বয়সে ছেলেমেয়েরা নিয়মিত স্কুলে যায় কি না, কোথায় যাওয়া-আসা করে, কাদের সঙ্গে চলাফেরা করে, মোবাইলে কার সঙ্গে কথা বলে এসবের খেঁাজখবর রাখা সব সচেতন মা-বাবার দায়িত্ব। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে। এতে করে তাদের মনের সঙ্কোচ দূর হয়। এ বয়সে তাদের দৈহিক পরিবতর্ন ও করণীয় সম্পকের্ খোলামেলাভাবে আলোচনা করা যেতে পার। তাছাড়া তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও অতিরিক্ত ঘোরাফেরার কুফল আলোচনা করা দরকার। পলির মা-বাবা এসব করতেন না বলেই এমনটি হয়েছে। তাই আসুন উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের আদর ও ভালোবাসা দিয়ে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনি। সে সঙ্গে তাদের খেঁাজখবর রাখি। তবেই আত্মহত্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে শত শত কিশোর-কিশোরী এবং রচিত হবে তাদের সোনালি ভবিষ্যৎ।

সাইফুল ইসলাম সজল

লাকসাম কুমিল্লা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<20044 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1