শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজাতির ভাষা

জোবায়ের আলী জুয়েল ঢাকা
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এখানে অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করে। বাংলাদেশে উপজাতির সংখ্যা চল্লিশের অধিক। অন্য এক গবেষণামতে বাংলাদেশে উপজাতির ভাষার সংখ্যা ছাব্বিশটি (ইনডিজেনাস কমিউনিটিস গ্রন্থে)। তারা প্রধানত বাস করে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেট, পটুয়াখালী, বরগুনা, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে।

উপজাতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে ওঁরাও, খাসিয়া, গারো, চাকমা, মগ, মণিপুরী, মুÐা ও সঁাওতালি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া রয়েছে খুমি, কোচ, হাজং, চাক, খাড়িয়া, খিয়াং, তঞ্চঙ্গ্যা ইত্যাদি।

১। ওঁরাও ভাষাÑ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও সিলেটের চা-বাগান এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক লোকের মাতৃভাষা ওঁরাও। ওঁরাও ভাষীদের সবোর্চ্চ সংখ্যা রংপুরে এবং সবর্ নিম্ন সিলেটে। ওরাও ভাষা কুরুখ নামে সমধিক পরিচিত। এ ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই, তবে তা’ লোকসাহিত্যসমৃদ্ধ। ওঁরাও ভাষায় অসংখ্য উপকথা, রূপকথা, গীত, ছড়া, ধঁাধা, প্রবাদ ইত্যাদি রয়েছে।

লোক সাহিত্য ওঁরাওদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও হাসিকান্নার বাহক। প্রেম, প্রকৃতি, জীবিকা, আচার-অনুষ্ঠান, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রচিত ওঁরাও লোকসংগীত যথেষ্ট কাব্যময় ও শাক্তিশালী। এ ভাষায় অগণিত ছেলে ভুলানো ছড়া ও ঘুম পাড়ানি গান রয়েছে।

২। খাসিয়া ভাষা: খাসিয়া ভাষা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা গোষ্ঠীর অন্তভুর্ক্ত। খাসিয়া ভাষায় গ্রামকে “পুঞ্জি” বলে। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ও পাবর্ত্য অরণ্যাঞ্চলে তাদের বসবাস। খাসিয়া ভাষার মধ্যে রয়েছে প্রধানত পাড়, লিংগাম ও ওয়ার। পাড় মানে পবর্ত ও খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পূবার্ংশের বিস্তীণর্ অঞ্চলে প্রচলিত ভাষাই পাড়। লিংগাম শব্দে গারো পাহাড়কে বোঝায়। তাই গারো পাহাড়ের সন্নিকটস্থ অঞ্চলের ভাষাই লিংগাম নামেই সমধিক পরিচিত। ওয়ার মানে উপত্যকা।

৩। গারো ভাষা: গারো ভাষা প্রধানত চীনা-তিব্বতী ভাষাগোষ্ঠীর অন্তভুর্ক্ত এবং অনক্ষর ও অলিখিত একটি প্রাচীন অনাযর্ ভাষা। চীনা ভাষার সঙ্গে এ ভাষার শব্দ, ব্যাকরণ ও ভাষা তত্ত¡গত প্রচুর মিল রয়েছে। এ ভাষা প্রবাদ-প্রবচন, শ্লোক, গান, ছড়া, কিংবদন্তি, উপকথা, পালাগান ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ। এতে নৃতত্ত¡ ও ধমের্র কথাও আছে। বহু ভাষার শব্দ দ্বারা গারো ভাষার শব্দ কোষ পুষ্ট। এ ভাষার বাক্য গঠন, পদ বিন্যাস, বিভক্তি, প্রত্যয়ের অবস্থান, ক্রিয়া ও শব্দের রূপান্তর উন্নত ভাষার মতো সুশৃঙ্খল। বাংলা ও অসমীয়া ভাষার সঙ্গে এ ভাষার সাদৃশ্যের কারণে কেউ কেউ গারো ভাষাকে এই দুই ভাষার মিশ্ররূপ বলে মনে করেন। গারোরা বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বসবাস করে বলে এ ভাষার বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ দেখা যায়। খ্রিস্টান মিশনারিরা গারো ভাষায় রোমান অক্ষর প্রচলন করেন। বাংলা হরফে গারো ভাষা স্বাচ্ছন্দে লেখা যায়। বতর্মানে গারোদের পারিবারিক ভাষা গারো কিন্তু তাদের পোশাকি ভাষা বাংলা। বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও ভারতের মেঘালয় সীমান্তে রয়েছে গারোদের বসবাস।

৪। চাকমা ভাষা: চাকমা ভাষা বাংলাদেশের উপজাতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে উন্নততর। এ ভাষায় কিছু প্রাচীন পঁুথি রয়েছে। সে সবের মধ্যে তালপাতায় লিখিত “চাদিগাং চারা” পালা একটি। এ থেকে জানা যায় যে চাকমারা নেপাল থেকে দক্ষিণ পূবর্ এশিয়ার নানা দেশ পরিক্রম করে ব্রহ্মদেশ ও আরাকানের মধ্য দিয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে এসে উপনীত হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে তাদের আনাগোনা থাকলেও মাত্র তিনশ বছর পূবের্ তার পাবতর্্য চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তাদের আদিনাম “শাক” (ঞঝ ধশ)। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে তিন লক্ষাধিক লোক চাকমা ভাষায় কথা বলে। চাকমা ভাষার বণর্মালা থাইল্যান্ডের ক্ষের, আন্নাম, লাওস, কন্বোডিয়া, শ্যাম ও দক্ষিণ ব্রহ্মের লিপির সঙ্গে সাদৃশ্যপূণর্।

চাকমা ভাষায় রচিত অনেক গীতও আছে, যেগুলো চাকমা কথ্য ভাষায় রচিত। ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে চাকমা কবি শিবচরণ রচিত “গোজেল লামা”র ভাষা প্রায় হুবহু বাংলা, এতে “পূবর্বঙ্গ গীতিকার” মতো বন্দনা গীতি রয়েছে। “রাধামন ধানপাতি” ও “চাদিগাং চারা” পালা চাকমাদের দুটি উল্লেখযোগ্য পালা। চাকমা ও বাংলা ছড়ার ছন্দ প্রায় অভিন্ন। এ দুটি ভাষার পদবিন্যাসও প্রায়ই একই রকম।

৫। মগভাষা: মগভাষা হলো আরাকানি ভাষার কথ্য রূপ এবং একটি সংকর ভাষা। তিব্বতী-বমর্ণ গোষ্ঠীভুক্ত এ ভাষায় অস্ট্রো-এশীয় ভাষার প্রচুর উপাদান রয়েছে। চীনা, প্রাচীন বমির্ এবং মিজো ভাষার সঙ্গে এ ভাষার যথেষ্ট মিল রয়েছে। তবে সবচেয়ে বমির্ ভাষার সঙ্গে রয়েছে এর ঘনিষ্ঠ সম্পকর্। মগ ভাষার আদিনিবাস আরাকান। বাংলাদেশে দুই লক্ষাধিক লোক মগ ভাষায় কথা বলে।

মগভাষা আরাকান ও বাংলাভাষার সংমিশ্রিত ভাষা। এক সময় ব্রহ্মদেশীয় রাজার অত্যাচারে দুই-তৃতীয়াংশ আরাকানি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ করেছিল। ফলে তাদের ভাষার সঙ্গে বাংলাভাষার সংমিশ্রণে মগভাষার উৎপত্তি হয়।

মগ বণর্মালার নাম “ঝা”। বণর্গুলো মানুষের কোনো-না-কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নামে উচ্চারিত হয়। এর আকৃতিতে চীনা চিত্রলিপির ছাপ লক্ষণীয়।

বমির্ ও মগ ভাষায় বার ও মাসের নাম এবং সংখ্যা গণনা অভিন্ন। মগরা আরাকানে থাকতেই বাংলাভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত ছিল, কারণ মধ্যযুগে আরাকানে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের চচার্ হতো।। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা ও মগ ভাষার মধ্যে পারস্পরিক প্রভাব লক্ষণীয়।

৬। মণিপুরী ভাষা: মণিপুরী ভাষা মোঙ্গলীয় ভাষা পরিবারের তিব্বতি-বমির্শাখার কুকি-চীন গোষ্ঠীভুক্ত প্রায় ৩,৫০০ বছরের প্রাচীন ভাষা। মৈতৈ জাতির নামানুসারে উনিশ শতকের পূবর্ পযর্ন্ত এ ভাষার নাম ছিল মৈতৈ। পরবতীের্ত মণিপুরী নামে অভিহিত হয়। মূল মৈতৈ বণর্মালায় বণর্ ছিল ১৮টি পরে আরও বণর্মালা সংযোজিত হয়। বমির্-আরাকানি বণর্মালার মতো মৈতৈ বণর্মালা মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উচ্চারিত হয়। এর বণর্গুলো তিব্বতি বণর্মালার অনুরূপ।

মণিপুরী ভাষা ও সাহিত্যের উদ্ভব যুগের প্রথম নিদশর্ন গীতি কবিতা “ঔগ্রী”। তৎপূবের্ বিচিত্র প্রেম, গীত, প্রবাদ-প্রবচন, পালাগান, ছড়া ইত্যাদির প্রচলন ছিল। প্রেম গীতগুলো বেশ চিত্তাকযকর্। এগুলো যুবক-যুবতীরা বাদ্যনৃত্য সহযোগে দলবদ্ধভাবে পরিবেশন করে। মণিপুরী ভাষায় প্রচুর সামরিক সংগীত এবং কিছু নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প, কাব্য, এমনকি মহাকাব্যও রচিত হয়েছে। এ ভাষায় বাংলা ও পাশ্চাত্যের বিশেষ বিশেষ গ্রন্থ এবং রামায়ণ, মহাভারতও অনূদিত হয়েছে। ভারতের মণিপুরে এ ভাষা রাষ্ট্রভাষা এবং অন্যতম ভারতীয় জাতীয় ভাষারূপে স্বীকৃত।

মণিপুরী একটি সংকর ভাষা। বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, আসাম ও ব্রহ্মদেশে প্রায় ত্রিশ লক্ষাধিক লোক এ ভাষায় কথা বলে। বতর্মানে বৃহত্তর সিলেটে মণিপুরী ভাষীর সংখ্যা প্রায় অধর্ লাখ।

৭। মুÐা ভাষা: মুÐা ভাষা অস্ট্রো-এশীয় ভাষা পরিবারের অন্তভুর্ক্ত এবং ভারতীয় আযর্ভাষা থেকেও প্রাচীনতর। এ ভাষা উড়িয়া, অসমিয়া ও বাংলা ভাষার প্রাথমিক ভিত রচনা করেছে। খাসিয়া, গারো, সঁাওতাল, কোল ইত্যাদি উপজাতীয় ভাষার সঙ্গে মুÐা ভাষার সম্পকর্ লক্ষণীয়। অসংখ্য মুÐা শব্দ বাংলা ভাষায় বিশেষত আঞ্চলিক ভাষায় বিদ্যমান। কৃষি, গৃহস্থালী, বসতি, গণনা, আত্মীয়তা, ওজন, ভ‚মি, পশু-পাখি, গাছ-গাছড়া ইত্যাদি সংক্রান্ত শব্দ মুÐা তথা অস্ট্রো এশীয় ভাষা থেকে আগত।

মুÐা ভাষা ব্যাপক অঞ্চলজুড়ে চালু ছিল বলে এর আঞ্চলিক রূপও ছিল। দক্ষিণ বিহার ও উড়িষ্যার সংলগ্ন অঞ্চলে, মধ্য প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে প্রায় এক কোটি লোক মুÐা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশে এদের সংখ্যা প্রায় ১৫-২০ হাজার।

৮। সঁাওতালি ভাষা: সঁাওতালি ভাষা অস্ট্রো এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর প্রাচ্য শাখার অন্তভুর্ক্ত। প্রায় দশ হাজার বছর আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে ব্রহ্মদেশ ও আসামের ভেতর দিয়ে অস্ট্রো এশীয় জনগোষ্ঠী ভারত উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বিহারের সঁাওতাল পরগনায় সঁাওতালভাষী জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি। পশ্চিমবঙ্গের বিহার সীমান্তবতীর্ জেলাগুলোতে এবং বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে দিনাজপুর, রাজশাহী ও রংপুরে বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় দেড় লাখ সঁাওতালভাষী লোকের বাস আছে। তারা বাংলায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে এবং নিজেদের ভাষায়ও বহু বাংলা শব্দ ব্যবহার করে। সঁাওতাল ভাষায় দুটি উপভাষা আছে “নাইলি” ও “করকু”। এটি অনক্ষর ভাষা। ভারতে এখনও সঁাওতালি ভাষা দেব নাগরী অক্ষরে লিখিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে কোনো সঁাওতালি বই-পুস্তক নেই। খ্রিস্টান মিশনারিরা দু’একটি সঁাওতাল বিদ্যালয় স্থাপন করে ইংরেজি বণর্মালায় সঁাওতালি ভাষা শিক্ষা দিচ্ছে।

৯। খুমি ভাষা : পাবর্ত্য চট্টগ্রামের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে খুমিদের বাস। ২০০৬ সালের বেসরকারি জরিপে খুমিদের জনসংখ্যা প্রায় তিন হাজারে উঠে এসেছে। খুমিরা টিবেটান-বামির্জ-কুকিচীন দলভুক্ত। এই ভাষার স্বর যুক্ত বণর্মালার সংখ্যা ২৫টি। খুমি থেকে ইংরেজি ভাষায় একটি অভিধান প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

১০। কোচ ভাষা : কোচ ভাষা সাইনো-টিবেটান পরিবারের এই ভাষাটিতে প্রচুর বাংলা, উড়িয়া, হিন্দি, অহমিয়া ও ছোট নাগপুরী ভাষার মিশ্রণ ঘটেছে। কোচদের নিজস্ব ভাষা আছে, বণর্র্মালা নেই। কোচ জনসংখ্যা এখন ছয় হাজারেরও বেশি। কোচ ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত। কেবল প্রাচীন লোকরাই কোচ ভাষায় ভাব বিনিময় করতে পারে।

১১। হাজং ভাষা : জমিদারদের বিরুদ্ধে টংক আন্দোলনখ্যাত হাজং পরিবারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে। বতর্মানে হাজংয়ের সংখ্যা বারো হাজারের মতো। হাজংদের নিজস্ব ভাষায় বতর্মানে বহু বাংলা শব্দ ঢুকে গেছে।

১২। চাক ভাষা : বাংলাদেশে চাক জনসংখ্যা প্রায় পঁাচ হাজারের কাছাকাছি। উখিয়া, আরাকান, রামু, নাইক্ষ্যং ছড়ি, লামায় চাকদের বাসস্থান। চাকদের ভাষা আছে বণর্মালা নেই। তবে মংমং চাক ধ্বনি অনুসরণ করে এগারোটি স্বরবণর্ ও চৌত্রিশটি ব্যঞ্জনবণর্ তৈরি করা হয়েছে।

১৩। খাড়িয়া ভাষা : বাংলাদেশে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্রায় ৬ হাজার খাড়িয়া রয়েছে। অস্ট্রো-এশিয়াটিক পরিবারভুক্ত খাড়িয়া ভাষা রোমান হরফে লিখিত হতে থাকে। পরবতীর্কালে বাংলা ও দেব নাগরী হরফে ও লেখা খাড়িয়া ভাষার চচার্ শুরু হয়। বাংলাদেশে কেবল প্রবীণ খাড়িয়ারাই তাদের মাতৃভাষা ব্যবহার করতে জানে।

১৪। খিয়াং ভাষা : ১৯৯১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী রাঙামাটি ও বান্দরবানে এক হাজার ৯০০ জন উল্লেখ করা হলেও খিয়াংদের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩ হাজার ৫০০ জন। খিয়াং সিনো-টিবেটান ভাষা পরিবারভুক্ত। খিয়াংদের নিজস্ব কোনো বণর্মালা নেই। কিন্তু কথ্য ঐতিহ্যে অনেক ছড়া, কবিতা ও গান রয়েছে। খিয়াং ভাষাটি মিয়ানমারেও প্রচলিত।

১৫। তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা : তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী মোট বাংলাদেশে ৫১ হাজার ৫০০-র কিছু বেশি। জামার্ন ভাষা বিজ্ঞানী গিয়াসের্নর সমীক্ষায় ১৯০৩ সালেই স্পষ্ট করে বলা হয় তঞ্চঙ্গ্যা একটি পৃথক ভাষা, যা ইঙ্গো ইউরোপীয় পরিবারভুক্ত। তঞ্চঙ্গ্যা ভাষার নিজস্ব বণর্মালা রয়েছে এবং এ ভাষাটির সাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ।

উপজাতীয় ভাষাগুলো অস্ট্রো-এশীয়, ইন্দোচীন, চীন-তিব্বতি, তিব্বতি-বমর্ণ, ইঙ্গো-ইউরোপীয় ও দ্রাবিড়ীয় ভাষা পরিবারের কোনো-না-কোনোটির অন্তভুর্ক্ত। বাংলাভাষা গঠনের যুগে উপজাতীয় ভাষাগুলোর অবদান অপরিহাযর্।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<36972 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1