শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধানের ন্যায্যমূল্য ও কৃষকের বাঁচা-মরার সংগ্রাম

ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। ধান উৎপাদনের সঙ্গে দেশের ১ কোটি ৫২ লাখ কৃষি পরিবার ও ২ কোটি ৪৭ লাখ জনশক্তি জড়িত। ধানের উৎপাদন, লাভ-ক্ষতি ও ন্যায্যমূল্যের ওপর শুধু কৃষকের ভাগ্যই জড়িত নয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
নিতাই চন্দ্র রায়
  ২৫ মে ২০১৯, ০০:০০

ধান নিয়ে সারাদেশে চলছে এক তুলকালাম কান্ড। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের নিজ জেলা টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আবদুল মালেক শিকদার নামে এক কৃষক ধানের দাম কম ও কৃষি শ্রমিকের বেশি মজুরির প্রতিবাদে ক্ষোভ-দুঃখে নিজের পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে এক অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার এ প্রতিবাদের খবরটি সারাদেশের পত্র-পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। দাবি উঠেছে, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনার। প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন। প্রয়োজনে বেসরকারি গুদাম ভাড়া করা। চাল আমদানি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা। চাল আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি। উদ্বৃত্ত চাল বিদেশে রপ্তানি করা ইত্যাদি।

প্রতিমণ ধানের দাম কমপক্ষে এক হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। গত ২০ মে এ উপলক্ষে রাজশাহীর কোর্ট শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে কৃষকের কমপক্ষে ৯ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। তাই ধানের দাম এক হাজার ১০০ টাকার নিচে করা যাবে না।' রাজশাহীর প্রতিটি ইউনিয়নে জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে ধান কেনা, কৃষকের ধান বিক্রি নিশ্চিত, আগামী মৌসুমে কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ, নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ করে উৎপাদিত শস্যের ১৫ ভাগ মজুদ এবং গুদামে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে সমাবেশ থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজানপাড়া গ্রামের প্রবীণ ধান ব্যবসায়ী ও আড়তদার গোলাম মোস্তফা বলেন, গত ২০ মে তার আড়তে ৬২০ টাকা মণ (৪ কেজি) দরে ব্রি-ধান-২৮ এবং ৫০০ টাকা মণ দরে ব্রি-ধান-২৯ ও হাইব্রিড জাতের ধান কেনা হয়েছে। গত বছর এ সময় প্রতিমণ বোরো ধানের দাম ছিল ৭০০ টাকা। সে হিসাবে বর্তমানে প্রতিমণ ব্রি-ধান-২৮ থেকে ২৫ কেজি ও ব্রি-ধান-২৯ থেকে ২৪ কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে। ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি কেজি নতুন বোরো চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। সে হিসাবে ২৫ কেজি চালের দাম ৭৫০ টাকা। মণপ্রতি উৎপাদন খরচ ২৫ টাকা ও ব্যবসায়ীদের লাভ ২৫ টাকা বাদ দিলেও কৃষকের কাছ থেকে প্রতি মণ বোরো ধান কমপক্ষে ৭০০ দরে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা অনায়াসে ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে ধান কিনে কৃষকের সর্বনাশ করছেন। ব্যবসায়ীরা গত দুই বছরে দেশে ধানের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও ৬০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে গুদাম ভর্তি করে রেখেছেন কার স্বার্থে? সরকারের উচিত ছিল, কৃষকের স্বার্থে আজ থেকে ৬ মাস আগেই বিদেশ থেকে চাল আমদানি বন্ধ বা সীমিত করা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দেশে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত আছে এবং সরকারি গুদামে মজুদ আছে প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল। সারাদেশে ১৬ হাজার চালকলের মধ্যে মাত্র এক হাজার চালু আছে। বাকি চালকলের মালিকরা বোরো ধানের এ ভরা মৌসুমে কী কারণে চালকলগুলো বন্ধ রেখেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এর পেছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে কি-না কে জানে? কারও কারও সন্দেহ, প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করা গুদাম ভর্তি চাল বস্তা বদল করে সরকারি গুদামে ঢোকানোর পরই মিল মালিকরা তাদের চালকলগুলো চালু করবেন। তখন কৃষকের ঘরে কোনো ধান থাকবে না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদিত কৃষকের কষ্টের ধান চলে যাবে মহাজনদের গুদামে। লোকসানে সর্বস্বান্ত হবেন কৃষক। কৃষি কাজের প্রতি প্রচন্ড অনাগ্রহ সৃষ্টি হবে মানুষের।

এ বছর সরকার বোরো মৌসুমে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় করবে। আর কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে। বোরো মৌসুমের চাল সংগ্রহকালে কোনো মিল মালিক যাতে বিদেশ থেকে আমদানি করা পুরনো চাল বস্তা বদল করে সরকারি গুদামে সরবরাহ করতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার যদি মিল মালিকদের কাছ থেকে বোরো মৌসুমে উৎপাদিত নতুন চাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে মিল মালিকরা কৃষকের কাছ থেকে নতুন বোরো ধান কিনতে ও মিল চালু করতে বাধ্য হবেন। এতে কৃষক কিছুটা হলেও উৎপাদিত বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন।

\হএখন সারাদেশে চলছে বোরো ধান কাটার উৎসব। ধান কাটা, মাড়াই শুকানো কাজে কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। সারাদেশের হাট-বাজারে প্রতিমণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ দরে। আর ধান কাটার শ্রমিকের দৈনিক মজুরি দিতে হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অর্থাৎ দেড় মণ ধান বিক্রি করে একজন কৃষি শ্রমিকের একদিনের মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের তিন বেলার খাবার। একদিকে বাজারে ধানের দাম কম, অন্যদিকে শ্রমিকের অধিক মজুরির কারণে কৃষক পড়েছেন মহাবিপদে।

বিপদ-আপদে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো এ দেশের সংগ্রামী ছাত্র সমাজের ঐতিহ্যের অংশ। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষকের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে এক কৃষকের ধান কেটে দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কৃষকের অর্থনৈতিক মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। মানববন্ধনে ধানসহ সব কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে উপযুক্ত মূল্যে ধান ক্রয়ের দাবি জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবির সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে। গত ১৪ মে সোমবার ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের ঘোমগাঁও গ্রামের মরণব্যাধি কান্সারে আক্রান্ত দরিদ্র কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিকের ৮০ শতক জমির ধান স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কেটে বাড়িতে এনে দেয়ার মধ্য দিয়ে ফুলপুর ওপেন স্কাউট গ্রম্নপের সদস্যরা অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচির শুভসূচনা করেন। ইতিমধ্যে তারা ৫ জন অসহায় গরিব কৃষকের ৩.১৩ একর জমির ধান কেটে ঘরে তুলে পরপোকারের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। শেরপুরের হোসাইন মারুফ নামের ক্রীড়াচক্র নামে আরেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা সদর উপজেলার মুন্সীচর গ্রামের ১০ দরিদ্র কৃষকের ৫ একর জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

\হদেশে উৎপাদিত মোট ধানের ৪৫ শতাংশ আসে বোরো ফসল থেকে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ কোটি ১৬ লাখ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১ কোটি ৯৬ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়। এ বছরও বোরো মৌসুমে গত বছরের সমপরিমাণের কাছাকাছি ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোল্ড ইনজুরি, বস্নাস্ট ও ফনির কারণে বোরো ধানের উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হতে পারে।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে উৎপাদিত ফসলের ১৫ শতাংশ সরকারিভাবে সংগ্রহ করা হয়। আমাদের দেশে উৎপাদিত চালের মাত্র ৪ ভাগ সরকারিভাবে সংগ্রহ করা হয়। সরকারি গুদামের ধারণ ক্ষমতার অভাবের কারণেও সরকারিভাবে বেশি পরিমাণে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে দেশে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হতো। তখন সরকারি গুদামের ধারণ ক্ষমতা ছিল ১৫ থেকে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে দেশে চাল উৎপাদিত হয় ৩ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন। আর সরকারি গোদামের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ২১ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৫০ লাখ টনে উন্নীত করে চালের পরিবর্তে উৎপাদিত ধানের শতকরা ১৫ ভাগ সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে ক্রয় করা উচিত। এতে কৃষক উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন এবং টেকসই হবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা।

চারা রোপণ, ধান কাটা ও মাড়াই কাজে ধান ফসলের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ শ্রমশক্তি ব্যবহার করা হয়। এ কাজগুলো যদি যন্ত্রের সাহায্যে সম্পন্ন করা যায় তাহলে ধানের উৎপাদন খরচ অনেক হ্রাস পাবে। এতে কৃষক লাভবান হবেন এবং কৃষি শ্রমিক সংকট দূর হবে। এজন্য সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সারাদেশে ক্রয় মূল্যের শতকরা ৫০ ভাগ এবং হাওর অঞ্চলে শতকরা ৭০ ভাগ ভর্তুকি প্রদান করছে। কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাভর্তি কাজে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খরচ সাশ্রয় করা সম্ভব। অন্যদিকে রাইস ট্রান্সপস্নান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের মাধ্যমেও ধান চাষের উৎপাদন খরচ অনেক কমিয়ে আনা যায়। এছাড়া অধিক লাভের জন্য কৃষক ভাইদের মোটা ধানের পাশাপাশি উন্নত জাতের সুগন্ধি ধানের চাষ করা উচিত। কারণ সুগন্ধি ধানের উৎপাদন খরচ কম, বাজারে চাহিদা বেশি এবং দাম সাধারণ ধানের দ্বিগুণ। সুগন্ধী চাল বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনাও রয়েছে প্রচুর। দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, বিরল, বোচাগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলার অধিকাংশ কৃষক মোটা ধানের পাশাপাশি ব্রি-ধান-৩৪ জাতের সুগন্ধী ধানের চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।

ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। ধান উৎপাদনের সঙ্গে দেশের ১ কোটি ৫২ লাখ কৃষি পরিবার ও ২ কোটি ৪৭ লাখ জনশক্তি জড়িত। ধানের উৎপাদন, লাভ-ক্ষতি ও ন্যায্যমূল্যের ওপর শুধু কৃষকের ভাগ্যই জড়িত নয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ধানের দাম কম হলে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন বিপর্যয় ঘটলে তার প্রভাব পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে। কৃষক কষ্ট করে লাভের আশায় ধান চাষ করেন। সেই ধান বিক্রি করে যদি তার প্রতি মণে দেড় থেকে দুইশ' টাকা লোকসান গুণতে হয় তাহলে কী জন্য তিনি করবেন ধানের চাষ? এ প্রশ্নের উত্তর সরকারের নীতিনির্ধারকদের খুঁজে বের করতে হবে। ধানের ন্যায্যমূল্যের সঙ্গে এদেশের কৃষকের বাঁচা-মরার সংগ্রাম নিহিত। তাই ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে চাল আমদানি বন্ধ, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় এবং উদ্বৃত্ত চাল (যদি থাকে) রপ্তানিসহ বিভিন্ন কৃষিবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে সরকারি গুদামের ধারণক্ষমতা আড়াই থেকে তিন গুণ বাড়াতে হবে।

নিতাই চন্দ্র রায়: কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<51004 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1