শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
হ্যালো লিডার হ্যালো মিনিস্টার

গণপূর্তের দুর্নীতি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দায়িত্ব ও থুতু প্রস্তাবনা

মূলত প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি থেকে দেশে ব্যক্তিগত দুর্নীতির ডালপালা ছড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিবাজরা যখন একের পর এক অপকর্ম করে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় পার পেয়ে গেছেন বা যাচ্ছেন, তখন ব্যক্তিগত দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত। দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বন্ধের চলমান উদ্যোগ কার্যকর হলে দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়েও দুর্নীতি কমে আসবে। সব স্তরের দুর্নীতিবাজরা জনগণের সম্পদ লুট করছেন। দেশের যে সৌন্দর্য আছে সেটি ধ্বংস করছেন। এই লুটেরাদের সঙ্গে ধর্ষকদের কোনো অমিল নেই। একজন ধর্ষক তার কামলালসা চরিতার্থ করতে শিশু-তরুণী-কিশোরী বা নারীর ওপর হামলে পড়ে জীবন ধ্বংস করে দেন। তেমনি একজন দুর্নীতিবাজ তার অর্থ-সম্পদ লালসা চরিতার্থ করতে জাতীয় ও জনসম্পদের ওপর হামলে পড়ে রাষ্ট্রের বিকাশ স্পন্দন থামিয়ে দেন। তাই একজন দুর্নীতিবাজকে রাষ্ট্র ধর্ষক বলা যায়। এরা মানুষের অধিকার হরণ করেন নিজের লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে। এদের মানবতাবিরোধী অপরাধী বা রাষ্ট্রদ্রোহী বললেও খুব বাড়িয়ে বলা হবে না। কারণ রাষ্ট্র দুর্নীতিকে নিরুৎসাহিত করেছে। এ ধরনের লুটেরা-ধর্ষক ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে।
সোহেল হায়দার চৌধুরী
  ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

দুর্নীতি এমন এক মহাব্যাধি, যা একটি দেশ ও সমাজকে কুরে কুরে ধ্বংস করে দেয়। দুর্নীতি সমাজের উন্নয়নকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- দুর্নীতির কারণে সামাজিক ও মনোজাগতিক যে অস্থিরতা তৈরি হয় তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে কুপ্রভাব ফেলতে থাকে। সে কারণে সভ্যসমাজে দুর্নীতিকে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সমাজ বিকাশের বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দুর্নীতি বন্ধে বা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী নানা ধরনের ফর্মুলা ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল আসেনি। বাংলাদেশেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। দুর্নীতি দমনে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা ঘোষণার পাশাপাশি অ্যাকশনও শুরু করেছেন। সে অ্যাকশনে আতঙ্ক যতটা ছড়িয়েছে, ফলাফল ততটা কার্যকর নয়। এখনো দুর্নীতি সঙ্কটে ভুগছে দেশ। দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একক বা সংঘবদ্ধভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত দুর্নীতির কালোথাবায় বাংলাদেশকে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে।

সম্প্রতি এরকম একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে দুদকের প্রতিবেদনে। দুদক প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে গণপূর্তে দুর্নীতির ১০টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করে প্রতিরোধে ২০ দফা সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে দুদক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিমান, রাজউক, ওয়াসা, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গণপূর্ত নিয়ে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হলো।

দুদকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরে টেন্ডারপ্রক্রিয়ায় প্রাক্কলন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে দুর্নীতির সঙ্গে ঠিকাদার আর কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। ৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে সেগুলো একটি একটি করে ধরে সুরাহা করার চেষ্টা করা হলে এবং ভবিষ্যতে ওই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হলে দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব। দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান মন্ত্রীর কাছে যে প্রতিবেদন দেন তাতে টেন্ডারে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রাক্কলন, টেন্ডারের তথ্য ফাঁস, দর-কষাকষির নামে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ, বারবার নির্মাণকাজের নকশা পরিবর্তন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, টেন্ডারের শর্তানুসারে কাজ বুঝে না নেয়া, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেরামত বা সংস্কারকাজের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা প্রভাবশালী ব্যক্তির বেনামে অথবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ পরিচালনা, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

দুদকের এ প্রতিবেদনের উঠে আসা প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে জনগণ বা নাগরিক সমাজ একমত। বাংলাদেশে সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সব দপ্তরে এভাবে দুর্নীতির ডালপালা বিস্তৃত হয়েছে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠানে টেন্ডার বা কেনাকাটার বিষয় আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি নানা প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। গণপূর্তের প্রসঙ্গে দুদক বলছে, এই সংস্থায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় টেন্ডারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় না। অধিদপ্তরে বড় পরিসরের কাজের পাশাপাশি মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে কোটি কোটি টাকার কাজগুলো ছোট ছোট লটে ভাগ করা হয়। এসব কাজ পছন্দের ঠিকাদারদের দেয়ার জন্য ই-জিপিতে না গিয়ে গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ দেয়া হয়। গণপূর্তের অনেক কর্মকর্তার নামে-বেনামে বা আত্মীয়স্বজনের প্রতিষ্ঠান হলো এখানে পছন্দের ঠিকাদার। এই ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়ে যোগ্য ঠিকাদারদের বঞ্চিত করা হয়ে থাকে। অযোগ্যদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়। টেন্ডারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বর্তমান সরকার ই-টেন্ডার সিস্টেম চালু করলেও গণপূর্তে তার কোনো বালাই নেই। 'কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই' তত্ত্বে প্রক্রিয়াটি কেবল অনুসরণ করা হয়, বাস্তবচিত্র ভিন্ন। ই-জিপির মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও দাখিলের আগেই গোপন সমঝোতার মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে মূল্য জানিয়ে দেয়া হয়। আবার তার জন্য সুবিধাজনক শর্তাদি জুড়ে 'পোয়াবারো' পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়া হয়।

গৃহায়ণে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের ২০ দফা সুপারিশে গণপূর্ত অধিদপ্তরে ই-জিপি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি বা জালিয়াতি ঠেকাতে ক্রয়কারী কার্যালয়ের প্রধানের দপ্তরে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিয়ে কারিগরি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। প্রকল্প নির্বাচন করার সময় ওই প্রকল্পের উপযোগিতা নিশ্চিত, প্রকল্প নির্বাচনের পর ড্রয়িং, ডিজাইন ও প্রাক্কলন প্রত্যাশী সংস্থা থেকে অনুমোদন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অহেতুক অযৌক্তিক সময় বাড়ানোর বিষয়টি নজরদারি, চুক্তি স্বাক্ষরের পর টেন্ডারমূল্য, মেয়াদকাল ও চুক্তির অন্যান্য শর্ত সুনির্দিষ্ট বিধান ছাড়া পরিবর্তন না করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে না পারলে ঠিকাদারকে জরিমানার সুপারিশের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে দুদক। কাজের গুণগতমান নিবিড় তদারকির জন্য দুই স্তরের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু, নামে-বেনামে ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে জড়িত গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতীয় শুদ্ধাচারের কৌশল হিসেবে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাদের আত্মীয়স্বজন গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়িত আছেন কিনা, তার সুস্পষ্ট অঙ্গীকারনামা নেয়ার কথাও বলেছে দুদক।

প্রকল্পের কেনাকাটা, নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কারকাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য গণশুনানি ও সামাজিক নিরীক্ষা আয়োজনের কথা বলা হয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে। সরকারের বড় নির্মাণ প্রকল্পের কাজে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার জন্য প্রাক্কলন তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাস্তবায়ন কাজে জড়িত না করা, নির্মাণকাজে গাফিলতি কিংবা এজেন্ট বা ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, যেসব প্রকৌশলী কাজের পরিমাণগত ও গুণগতমান নিশ্চিত করে বুঝে নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাদের নির্মাণকাজের বাস্তবায়নসংক্রান্ত কাজে পদায়ন না করার কথা বলেছে দুদক। এর বদলে যোগ্য এবং সাহসী কর্মকর্তাদের পদায়ন করার পাশাপাশি প্রকৌশলীদের পদায়ন ও বদলির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

দুদকের প্রতিবেদন গ্রহণের সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, 'এই প্রতিবেদন আমাদের গাইডলাইন দেবে, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করছেন। আমি তার মন্ত্রিসভার একজন সদস্য হিসেবে দুর্নীতিকে নূ্যনতম সহ্য করব না। আমি তার এই নীতিকে শতভাগ ধারণ করি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নিবেদিত থাকব।' মন্ত্রীর এই কথাগুলো জনগণকে আশান্বিত করেছে। জনগণ এখন তার প্রতিশ্রম্নতি রক্ষার বাস্তবতা দেখতে চাইছে। এর আগে অনেক মন্ত্রীর মুখে এমন কথা শোনা গেলেও কাজে ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। এবার যদি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বাস্তবিক অর্থে তার নীতি ও প্রতিশ্রম্নতি বজায় রেখে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারেন তবে তিনি ইতিহাসের নতুন নায়ক হয়ে উঠবেন। আইনাঙ্গনের উজ্জ্বল মুখ কথানুষ্ঠানের সাহসী মানুষ শ ম রেজাউল করিম চাইলে তা পারবেন এমনটি সবাই বিশ্বাস করে।

মূলত প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি থেকে দেশে ব্যক্তিগত দুর্নীতির ডালপালা ছড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিবাজরা যখন একের পর এক অপকর্ম করে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় পার পেয়ে গেছেন বা যাচ্ছেন, তখন ব্যক্তিগত দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত। দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বন্ধের চলমান উদ্যোগ কার্যকর হলে দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়েও দুর্নীতি কমে আসবে। সব স্তরের দুর্নীতিবাজরা জনগণের সম্পদ লুট করছেন। দেশের যে সৌন্দর্য আছে সেটি ধ্বংস করছেন। এই লুটেরাদের সঙ্গে ধর্ষকদের কোনো অমিল নেই। একজন ধর্ষক তার কামলালসা চরিতার্থ করতে শিশু-তরুণী-কিশোরী বা নারীর ওপর হামলে পড়ে জীবন ধ্বংস করে দেন। তেমনি একজন দুর্নীতিবাজ তার অর্থ-সম্পদ লালসা চরিতার্থ করতে জাতীয় ও জনসম্পদের ওপর হামলে পড়ে রাষ্ট্রের বিকাশ স্পন্দন থামিয়ে দেন। তাই একজন দুর্নীতিবাজকে রাষ্ট্র ধর্ষক বলা যায়। এরা মানুষের অধিকার হরণ করেন নিজের লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে। এদের মানবতাবিরোধী অপরাধী বা রাষ্ট্রদ্রোহী বললেও খুব বাড়িয়ে বলা হবে না। কারণ রাষ্ট্র দুর্নীতিকে নিরুৎসাহিত করেছে। এ ধরনের লুটেরা-ধর্ষক ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তিন মেয়াদে অর্জনের পরিমাণ অনেক। এসব অর্জন বাংলাদেশকে শুধু গতিশীলই করেনি, আন্তর্জাতিক মহলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল করেছে। আজ বিশ্বসভায় বাংলাদেশ অনন্য এক মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। এর সবকিছুই ম্স্নান হয়ে যাবে যদি দুর্নীতির বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা না যায়। সে ক্ষেত্রে দোর্দন্ড প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ তথা এ লুটেরা-ধর্ষক, মানবতাবিরোধী রাষ্ট্রদ্রোহী চক্রকে রুখতে পারবেন একমাত্র শেখ হাসিনা। জাতির পিতার অসীম সাহসী কন্যা শেখ হাসিনাই পারবেন দেশটাকে তার পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে। সে জন্য সব স্তরের দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করতে হবে। একজন চোর, ডাকাত বা ধর্ষক যেমন সমাজে ঘৃণার শিকার হন, তেমনিভাবে দুর্নীতিবাজদের জন্য ঘৃণার স্তূপ গড়ে তুলতে হবে। আজ থেকেই দুর্নীতিকে না বলার পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদের নাম উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গে 'ওয়াক থু' বলে আমাদের ঘৃণা চর্চা শুরু করতে পারি কি?

সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<72150 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1