শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর মান্নানকে দুদকে তলব

যাযাদি রিপোটর্
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৮
মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান

দুনীির্তর অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। সোমবার দুদকের উচ্চপযাের্য়র একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, সংস্থার উপপরিচালক ও এ-সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের প্রধান এসএম সাহিদুর রহমান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণ অনিয়মের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পষের্দর সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সম্পৃক্ততা পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ২০১৫ সালের শেষ দিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুদক ও সিআইডিকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে মেজর মান্নানের মালিকানাধীন সানম্যান গ্রæপের ৩৪ কোম্পানির নামে-বেনামে বিআইএফসি থেকে ৭০৩ কোটি টাকা বের করে নেয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এর মধ্যে ২৭ প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৭০ কোটি টাকা সরাসরি নেয়া হয়। একই গ্রæপের সাত প্রতিষ্ঠানকে জামিনদার দেখিয়ে নেয়া হয় আরও ১৩৩ কোটি টাকা। খেলাপি হওয়ার পরও কিছু ঋণ হিসাবকে নিয়মিত দেখানো ও সিআইবিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনেক ঋণ হিসাবের রিপোটর্ না করার মতো বিষয়ও ধরা পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে। ঋণ জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ার পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে তানজিলা মান্নানকে অপসারণের পাশাপাশি বিআইএফসিতে পযের্বক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সঙ্গে আত্মসাৎকৃত অথর্ আদায়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে বিআইএফসিকে নিদের্শ দেয়া হয়। পরে মেজর (অব.) মান্নান আত্মসাৎ করা অথের্র মধ্যে ২০০ কোটি টাকা ফেরতের প্রতিশ্রæতি দেন। যদিও শেষ পযর্ন্ত ফেরত দিয়েছেন ১২০ কোটি টাকা। দুদকের অভিযোগের তথ্য অনুসারে মান্নানের আত্মসাৎ করা অথের্র পরিমাণ ৫১৮ কোটি টাকা। এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত বছরের ৯ আগস্ট একটি মামলা করে। মুদ্রা পাচার আইনে করা ওই মামলায় মেজর মান্নানসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন বিআইএফসির সাবেক এমডি ইনামুর রহমান, সাবেক এসএভিপি আহম্মেদ করিম চৌধুরী, বিআইএফসির সাবেক ব্যবসাপ্রধান সৈয়দ ফাখরী ফয়সাল, মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের স্ত্রী ও বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম, শ্যালক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে লিমিটেডের পরিচালক রইস উদ্দীন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে লিমিটেডের পরিচালক রিজিয়া সুলতানা, আকবর হোসেন ও আমিনুর রহমান খান, মেজর মান্নানের মেয়ে তানজিলা মান্নান ও তাজরিনা মান্নান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে