শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
নয়াপল্টনে বিক্ষোভ

আদালতে ফয়সালা করেই ছাত্রদলের কাউন্সিল

আদালতে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রোববারই আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন। স্থগিতাদেশ উঠে গেলে খুব শিগগিরই কাউন্সিল হবে। প্রার্থী ও ভোটার তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হয়ে গেছে
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
ছাত্রদলের কাউন্সিল আদালতের স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা -যাযাদি

আদালতের স্থগিতাদেশের ফয়সালা করেই জাতীয় কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল। আদালতে স্থগিতাদেশে বিরুদ্ধে আজই আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন। স্থগিতাদেশে ওঠে গেলেই খুব শিগগিরই কাউন্সিল করতে চায় তারা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশে সব বন্ধ হয়ে গেছে। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় অফিসও বন্ধ ছিল। তবে সকাল থেকে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকশ কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়। আদালতের স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের পক্ষে দফায় দফায় মিছিল বের করে। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। বিএনপি কার্যালয়ের নিচে বৃত্তকার হয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা 'মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই', 'এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে', ইত্যাদি সেস্নাগানের পাশাপাশি ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিল-২০১৯ শুভেচ্ছা, স্বাগতম সেস্নাগানও দেয়। সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়রদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। তবে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, কৃষক দলের আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিল-২০১৯ এর আপিল কমিটির প্রধান শামসুজ্জামান দুদু তার কার্যালয়ে আসেন বেলা সাড়ে ১১টায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা আদালত যাবেন এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। স্থগিতাদেশের বিষয়টি ফয়সালা হলে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এদিকে একাধিক সাবেক ছাত্র নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আদালতে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রোববারই আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে \হযাবেন। স্থগিতাদেশ উঠে গেলে খুব শিগগিরই কাউন্সিল হবে। প্রার্থী ও ভোটার তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হয়ে গেছে। এখন শুধু ভোট গ্রহণই বাকি। ফলে এটা সম্পন্ন করতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। প্রসঙ্গত, স্থগিত হওয়া ছাত্র দলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থী ছিলেন। কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোটারের সংখ্যা ৫৩৩। শনিবার কাউন্সিল করার সব প্রস্তুততি সম্পন্ন হলেও ছাত্র দলের সর্বশেষ ভেঙ্গে দেয়া কমিটির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমান উলস্নাহর দায়ের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার আদালত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে ছাত্র দলের কাউন্সিল কবে হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে