২০১৮ সালে ভেনিজুয়েলায় তুরস্কের রপ্তানি প্রায় তিন গুণ বা ২২৩ শতাংশ বেড়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি ও আহভাল।
এজিয়ান এক্সপোটার্সর্ অ্যাসোসিয়েশনের উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, গত বছর ভেনিজুয়েলায় তুরস্কের রপ্তানি দঁাড়িয়েছে ১২ কোটি ৮ হাজার ডলারের, যা ২০১৭ সালে ছিল ৩ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
সবচেয়ে বেশি রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাস্তা (২ কোটি ৭৯ লাখ ডলার), সূযর্মুখী তেল (১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার), ময়দা (৭৯ লাখ ডলার) এবং মসুরের ডাল (৫০ লাখ ডলার)।
এজিয়ান রপ্তানিকারকদের সংগঠনের প্রধান মোস্তফা টাচির্ বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পকের্র ছাপ পড়েছে উভয় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে।
তুরস্ক থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভেনিজুয়েলায় চলমান অথৈর্নতিক সংকট ভ‚মিকা রেখেছে।
আনাদোলু এজেন্সিকে টাচির্ বলেন, ‘আমরা ভেনিজুয়েলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি; যেমনটা প্রতিবেশীদের অবরোধের শিকার কাতারের জন্য এর আগের বছর করেছিলাম।’
লাতিন আমেরিকার দেশটিতে নতুন বছরেও রপ্তানি বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে রপ্তানি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৪১১ শতাংশ বেড়ে ৮৯ লাখ ৬০ হাজার ডলারে দঁাড়িয়েছে।
টাচির্ আশা প্রকাশ করেন, ২০১৯ সালে ভেনিজুয়েলায় ২০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করবে তুরস্ক।
গত মঙ্গলবার এরদোগান এক ঘোষণায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও আনাতোলিয়ান শহর কোরামে ভেনিজুয়েলায় স্বণর্ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করবেন।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তজাির্তক সংকটে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশটি থেকে গত বছর তুরস্কের স্বণর্ আমদানি ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।