মন্দা মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী
যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় থেমে গেছে বিশ্বের সব অর্থনৈতিক চাকা। ফলে পুরো বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কায়। ইতিমধ্যে দেশের অর্থনীতিতেও করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ হলে কর্মসংস্থান, রফতানি, প্রবাসী আয়সহ অভ্যন্তরীণ বাজারেও সৃষ্টি হবে বড় সংকট।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় সুপরিকল্পিত এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এ কারণে দেশের অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বসেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, 'আমরা বৈঠক ডেকেছি। পূর্ব নির্ধারিত তেমন কোনো এজেন্ডা নেই। তবে করোনাভাইরাসে অর্থনীতির প্রেক্ষাপট এসব নিয়েই আলোচনা হবে। এজেন্ডা একটাই করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হচ্ছে এখান থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করা।'
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অনেক দেশই অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। তাই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। বন্ধ করা হয়েছে গণপরিবহনও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেও বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
যাযাদি রিপোর্ট
অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর হতে বের না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
তিনি বলেন, এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণ নিশ্চিত করা হবে।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরের মনিপুরে অবস্থিত মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের বালক শাখায় নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিনমজুরদের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের মানুষের জন্য শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বুধবার মিরপুরের বড়বাগ, পীরেরবাগ, মনিপুর এলাকার প্রায় সাতশ পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১টি সাবান ও ১টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুরে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে। এ সময় সবাইকে হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
পরে শিল্প প্রতিমন্ত্রী মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অবস্থিত মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের কলেজ শাখায় প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।