শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা অতুলনীয় : মতিয়া চৌধুরী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যরা - ফোকাস বাংলা

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, 'শেখ হাসিনার পরিকল্পনা যেখানে যায়, আমরা পেছনে দৌড়াই। একসময় কাগজে লেখা হতো, পরিকল্পনার পরি উড়িয়া গিয়াছে কল্পনা বসিয়া আছে। আমাদের দেশেও তদ্‌রূপ দেখা যেত। কিন্তু শেখ হাসিনা যখন পরিকল্পনা করে, কল্পনাও বাস্তবায়ন হয়ে যায় এবং পরিরাও কল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করে।'

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত 'জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ভেঙেছে দুয়ার এসেছে জ্যোতির্ময়' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মতিয়া চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'আমাদের রাজনীতিতে কিছু কবিরাজ আছে। তারা শুধু নিদান হাঁকতে আছেন এবং কিছু ডক্টর ডিগ্রিধারীও আছেন, তাদেরও একই অবস্থা। অথচ আজকে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয় নাই।'

তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হতো, তবে উনি নিজেই মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যায় পরিণত করে বাংলাদেশকে শুধু স্বাধীন দেশ হিসেবে নয়; একটি ভিত্তির ওপর আধুনিক বাংলাদেশ বাস্তবায়িত করতে পারতেন।'

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনার স্মৃতিচারণা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, '১০ জানুয়ারি বিমান এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে। তিনি জ্যোতির্ময় হিসেবে আবির্ভূত হলেন বাংলার মাটিতে। সেদিন অহরহ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে একটু ছুঁয়ে দেখার উদ্দেশ্যে চেয়ে থাকছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে অনুরোধ করছিল বঙ্গবন্ধুকে বিমান থেকে নামতে জায়গা করে দেওয়ার। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সবাই বঙ্গবন্ধুকে ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিল।'

বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে বিপস্নব বড়ুয়া বলেন, 'শুধু ১০ জানুয়ারি নয়, একজন কৃতজ্ঞ বাঙালি হিসেবে প্রতিদিন?ই আমাদের বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা উচিত। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কখনো আত্মগোপনে থাকেননি, পালিয়ে বেড়াননি। অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে তিনি পাকিস্তানিদের কাছে কখনো মাথা নত করেননি।'

তিনি বলেন, 'জাতির পিতার শাসনামলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, যা আমরা এখনো স্পর্শ করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ২৭৮ ডলার। সেই সময়ে পরাশক্তি চীনের জিডিপি ছিল ১৭৮ ডলার। যে পাকিস্তানকে আমরা পরাজিত করেছিলাম সে পাকিস্তানের জিডিপি ছিল ১৬৮ ডলার এবং ভারতের ছিল ১৫৮ ডলার। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই দেশ মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের মতো একটা উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতো। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি একটি দেশের ভবিষ্যৎকে হত্যা করেছে।'

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'আজকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে পেরেছি, কিন্তু আজকের দিনেও আমাদের শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে, সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের কাছে আমাদের সংবিধান গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাদের কাছে বিদেশিদের প্রেসক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কাছে বাংলার মানুষের ভোট গুরুত্বপূর্ণ নয়, তাদের কাছে বাংলার মানুষের লাশ গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা শপথ গ্রহণ করতে চাই, ক্রিমিনাল গ্যাং, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াতের বিষ দাঁত আমাদের ভেঙে দিতে হবে।'

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ সামাদ। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে