রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

ছুটির দিনে ইউরোপিয়ান বাড়ি ঘিরে দর্শনার্থীর ভিড়

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩২
ছুটির দিনে ইউরোপিয়ান বাড়ি ঘিরে দর্শনার্থীর ভিড়

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর চলছে ঢাকার পূর্বাচল শহরে। তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এবারের মেলায় প্রধান ফটক করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। তবে এবারের মেলায় সবকিছু ছাপিয়ে মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছে ইউরোপিয়ান ডিজাইনে তৈরি একটি বাড়ি। কে ওয়াই টু টোন নামের এক ডেভেলপার কোম্পানি আস্ত এ বাড়ি বিক্রি করছেন, যা নিয়ে মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহের শেষ নেই। প্রতিদিনই হাজার দর্শনার্থী এ বাড়িতে ভিড় করছেন। ছুটির দিন শুক্রবার মেলায় ছিল দর্শনার্থী-ক্রেতায় ঠাসা। আর এ বাড়িটি ঘিরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই বাড়িটির সঙ্গে ছবি তুলছেন। ভিডিও ধারণ করতেও দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

ইউরোপিয়ান এ বাড়ির মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই চোখে পড়বে সুবিশাল একটি ড্রয়িংরুম (অতিথি কক্ষ)। এর পাশেই রয়েছে ডাইনিং রুম। পাশাপাশি দুটি মাস্টার রুম রয়েছে। সেইসঙ্গে দুটো টয়লেট ছাড়াও রয়েছে সুন্দর একটি বেলকুনি। স্টিলের তৈরি এমন বাড়ি সচরাচর ইউরোপের দেশগুলোতে দেখা গেলেও বাংলাদেশে এমনটা দেখা যায় না। ফলে এবারের মেলায় অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে বাড়িটি।

আকমল হোসেন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘বাইরে থেকে বাড়িটি দেখতে যতটা সুন্দর ভেতরে আরও কয়েকগুণ বেশি সুন্দর। ইচ্ছা আছে এমন একটি বাড়ি তৈরি করার।’

আপেল মাহমুদ নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘এমন আস্ত বাড়ি মেলায় আগে কখনো দেখিনি। তাই মেলায় প্রবেশ করেই এখানে ছুটে এসেছি। কেনার সাধ্য তো নেই, তাই বাড়ির সঙ্গে ছবি তুলে স্মৃতিধারণ করে রেখে দিলাম।’

কে ওয়াই টু টোনের ইনচার্জ মো. রুবেল বলেন, ‘আস্ত বাড়ির ধারণা আগে থেকেই এ দেশে ছিল, কিন্তু তা কাঠের তৈরি বাড়ি ছিল। আমরা যে বাড়িটি বিক্রি করছি তা সম্পূর্ণ স্টিলের তৈরি। যা ১০০ বছরেও কিছু হবে না। এছাড়া এটি ভ‚মিকম্প ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে টিকে থাকার সক্ষমতা রাখে। আমরা এসব বাড়ি প্রতি বর্গফুট অনুসারে বিক্রি করি। যদি কেউ এমন একতলাবিশিষ্ট বাড়ি বানাতে চান তাহলে প্রতি বর্গফুটে ১ হাজার ৯০০ টাকা এবং ডুপ্লেক্স বাড়ির ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হবে। ১ হাজার বর্গফুটের একতলাবিশিষ্ট একটি বাড়ি ৪৫-৫০ দিনে এবং ডুপ্লেক্স বাড়ি ৩ মাসের মধ্যে সরবরাহ করে থাকি। এবারের মেলায় ভালো সাড়া পাচ্ছি।’

এবারের মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে উত্তরা বা মতিঝিল থেকে যারা মেলায় আসবেন তারা মেট্রোরেলে এসে ফার্মগেট থেকে বাসে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা মেলায় চলে আসতে পারেন সেই সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ দর্শনার্থীর সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে