দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এর বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের " গেট টুগেদার ২০২৪ " আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ৯ টায় শুরু হয় আয়োজনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম থেকে ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গেট টুগেদার এর আয়োজন করা হয়।
উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.এম কামরুজ্জামন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: মামুনুর রশিদ এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মাহবুব হোসেন।
উক্ত আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন গেট টুগেদার এর আহ্বায়ক ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মো: শামীম হোসেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: মামুনার রশিদ বলেন," হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের জন্য আজকের দিনটি অত্যান্ত আনন্দের ও উৎসবমুখর একটি দিন। যারা প্রাক্তন শিক্ষার্থী তাদের সবাইকে নিয়েই আজকের এই মিলনমেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য স্যার এই প্রোগ্রামকে মূল্যায়ন ও সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যৎ এরকম প্রোগ্রাম ও বৃহৎ পরিসরে রি-ইউনিয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। "
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শামীম হোসেন বলেন,"আমরা প্রায় ১৬ বছর পর প্রথমবারের মতো এরকম একটি আয়োজন করেছি। আজকের এই গেট টুগেদারের মাধ্যমে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি হবে। যারা বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন তাদের সাথে নেটওয়ার্কিং তৈরি হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহন করার মাধ্যমে নিজেদের পেশাগত জীবনের জন্য একধাপ এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ আরও এরকম আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। "
বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও তাদের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করেন। দীর্ঘদিন পর একত্রিত হওয়ায় খুবই ভালো লাগছে তাদের। অনেকেই এসেছেন তাদের পরিবার নিয়ে। তাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে অন্যরকম এক আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।
দুপুর ১২টায় অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় ক্যারিয়ার গাইডলাইন সেমিনার। সেখানে অতিথিবৃন্দ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও র্যালি, কেক কাটা, ফটো সেশন, মেইন গেইটের সামনে ফ্ল্যাশ মুভ ও সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে গেট টুগেদার অনুষ্ঠানটি। শুক্রবার সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ছিলো অন্যরকম। যেন বসন্তের ছোঁয়া প্রতিটি প্রাণে প্রাণে।