সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পপ কুইন ম্যাডোনার বয়স কত?

বিনোদন ডেস্ক
  ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:০০

চলতি বছরের বাকি মাসগুলোতে বিশ্ব সফরে ভক্ত-অনুরাগীদের সুরের মুর্ছনায় বুঁদ করিয়ে দেওয়ার কথা ছিল মার্কিন পপ তারকা ম্যাডোনার।

কিন্তু কিছুদিন আগে আচমকাই অসুস্থ হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। এতে বাতিল হয়ে যায় তার ওয়ার্ল্ড ট্যুর। পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু বাতিল হয়ে যাওয়া সফরের জন্য অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েন বিশ্বখ্যাত এই সঙ্গীতশিল্পী। এই সফরের জন্য রীতিমত প্রস্তুতি ও নিয়মিত রিহার্সালও চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সুস্থ হয়ে অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তারকা জানান, ‘আপনাদের ইতিবাচক শক্তি, প্রার্থনা এবং সেরে উঠতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

আমি আপনাদের ভালোবাসা অনুভব করেছি। আমি আবারও ফিরে আসছি। আমার জীবনে এই সমস্ত আশীর্বাদের জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ। যখন হাসপাতালে আমার জ্ঞান ফিরল তখন আমার প্রথম চিন্তা ছিল আমার সন্তানকে নিয়ে। দ্বিতীয় চিন্তা ছিল যারা আমার শোয়ের জন্য টিকিট কিনেছেন তাদের কাউকে আমি হতাশ করতে চাই না। আমি অচিরেই সবার কাছে ফিরে আসব।’

বিশ্বসঙ্গীতের পপকুইন খ্যাত ম্যাডোনা আজ পা রাখলেন জীবনের ছেষট্টিতম বছরে। ১৯৫৮ সালের এই দিনে মিশিগানের বে সিটিতে ইটালিয়ান বাবা এবং ফ্রেঞ্চ-কানাডিয়ান মায়ের এক ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার অনেকগুলো নাম হলেও মূল নাম ম্যাডোনা লুইস সিক্কোন। ক্যাথলিক হিসেবে ম্যাডোনার অপর নাম ভেরোনিকা। অনেকে আবার তাকে ন্যানি এবং ম্যাডি বলেও ডাকেন।

সঙ্গীতের জগতে এক নজিরবিহীন তারকার নাম ম্যাডোনা। তিনি এমন এক গায়িকা; যার আগে বা পরে এতটা জনপ্রিয়তা আর কোনো নারী সঙ্গীতশিল্পীর জীবনেই ঘটেনি। ছোটবেলায় নাচ এবং পিয়ানোয় হাতেখড়ি হয় ম্যাডোনার৷ ১৯ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কে নাচের স্কুলে শিক্ষা শুরু করেন। পাশাপাশি ড্রাম ও গিটার বাজানোতেও পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। তরুণ বয়সেই রচনা করেন বেশকিছু গান। নৃত্যনাট্যের পাশাপাশি ডিস্কোতে সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন ম্যাডোনা। তিনি যখন মঞ্চে ওঠেন শ্রোতাদের মধ্যে তখন এক অভূতপূর্ব মাদকতার প্রবাহ বইতে থাকে।

পাশাপাশি তার জাদুকরী অঙ্গভঙ্গি দর্শকদের জন্য বিশেষ খোরাক। ম্যাডোনা একাধারে গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক। পাশাপাশি তিনি একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও ফ্যাশন ডিজাইনারও। বৈচিত্র্যমুখী প্রতিভা ম্যাডোনা তার গানের মধ্য দিয়ে সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি, যৌনতা প্রভৃতির সমন্বয় ঘটিয়ে এগুলোর বৈপরীত্যগুলো তুলে ধরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সঙ্গীত দুনিয়ার আরেক দিকপাল মাইকেল জ্যাকসনের ধারার সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৭৮ সালে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী ম্যাডোনা নিউইয়র্ক সিটিতে আধুনিক পপ গান নিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর একের পর এক কনসার্ট দিয়ে সারাবিশ্বে পরিচিত হয়ে ওঠেন ম্যাডোনা। যোগ দেন ‘ব্রেকফাস্ট’ নামের রক দলে। ১৯৮৩ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘ম্যাডোনা’ প্রকাশ পায়। বিক্রি হয় প্রায় দু লক্ষ ৫০ হাজার কপি।

তারপর একে একে লাইক অ্যা ভার্জিন, ট্রু ব্লু. রে অব লাইট, কনফেশন অন অ্যা ড্যান্স ফ্লোর প্রভৃতি একক অ্যালবাম তাকে জনপ্রিয়তার চূড়ায় নিয়ে যায়। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ভোগ, ফ্রোজেন, ফোর মিনিটস, লাইক অ্যা প্রেয়ার, মিউজিক প্রভৃতি।

১৯৮৪ সালে ম্যাডোনার অ্যালবাম ‘লাইক অ্যা ভার্জিন’ রক্ষণশীল সমাজে সমালোচিত হলেও ডিস্কো নাচের তাল এবং তার সুরেলা কণ্ঠ জয় করে নেয় কোটি মানুষের হৃদয়। এই অ্যালবাম তাকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি। এ পর্যন্ত আশিটির বেশি শো করেছেন ম্যাডোনা। তা থেকে বিক্রির ক্ষেত্রে ম্যাডোনার গান গোটা দুনিয়ায় তিনশত মিলিয়ন ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে গিনেস বুকে নাম ওঠায়। তার অ্যালবামের বাণিজ্যিক সাফল্য সব ধরনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ক্যারিয়ারে নয়বার গ্রামি অ্যাওয়ার্ডসহ সঙ্গীদের সব নামি-দামি পুরস্কারই একাধিকবার বগলদাবা করে নিয়েছেন এই তারকা। বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও খ্যাতি পেয়েছেন ম্যাডোনা।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে