সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিনেত্রী চমককে নিষিদ্ধের দাবি 

বিনোদন রিপোর্ট
  ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩২
ফাইল ছবি

ক্ষমা এবং আর্থিক জরিমানার পর এবার নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে ছোট পর্দার উঠতি তারকা রুকাইয়া জাহান চমকের বিরুদ্ধে।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অভিনেতা আরশ খান ও চমক ইস্যুতে উত্তাল টেলিপাড়া। গত তিনদিন ধরে নাট্য নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও প্রযোজকদের সমিতি মিলে বিষয়টি নিয়ে সুরাহার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে চমকের সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করেছে সমিতিগুলো। পাশাপাশি ক্ষমা চেয়ে চমককে আর্থিক জরিমানার দাবিও তুলেছে তারা। অনেকটা নিরুপায় হয়ে সমিতিগুলোর দাবি-দাওয়া মেনে নেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু তারপরেও নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড এই সমাধানে আপত্তি তুলে রুকাইয়া জাহান চমককে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে।

জানা গেছে, ‘শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন’ নামের একটি নাটকের শুটিং সেটে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের বিরুদ্ধে। এরপর অভিনেত্রী অভিযোগ তোলেন সহকর্মী অভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে। থানা পুলিশ পর্যন্ত ঘটনা গড়ায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে আরশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করেছেন অভিনেত্রী চমক।

এরপর গত রোববার বিকালে সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে আলোচনায় বসে নাটকপাড়ার তিন অভিভাবক সংগঠন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব), ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘ। রোববার রাত অবধি সমস্যার কোনো সমাধান না হওয়ায় পরেরদিন সোমবার রাতে পুনরায় বৈঠকে বসে তিন সমিতির নেতারা। ওই রাতে সভার সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে পাঠিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। সেখানে চমকের শাস্তির ব্যাপারে নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সম্মতি রয়েছে দাবি করা হলেও পাওয়া গেল ভিন্ন তথ্য।

পরিচালকরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা এই সমাধান চাইনি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই দিনের সভায় সেটা জানিয়ে দিয়েছি। তবুও কেন আমাদের কথা বলা হলো আমি জানি না।

আমরা দাবি করেছি, চমককে নিষিদ্ধ করতে হবে। করতে হবে মানে করতেই হবে। আমাদের দাবি ছিল, যদি চমক পরিচালকের ক্ষতিপূরণ দেন তবে তিনি তিন মাস নিষিদ্ধ থাকবেন নাটকে। আর যদি ক্ষতিপূরণ না দেন তবে নিষিদ্ধের মেয়াদ আরও বাড়বে। কিন্তু ১৩ তারিখের সভায় চমককে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই।’

শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে বলেও জানান সাগর। তার ভাষ্য, ‘পরিচালকরা বারবার এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের সুনাম নষ্ট হয়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার জন্যই এগুলো ঘটে। পরিচালকরা সবাই চমকের কঠিন শাস্তি চায়।’

এদিকে অভিনয়শিল্পী সংঘের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবার বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অভিনেত্রী চমক গত ৪ আগস্ট নির্মাতা আদিফ হাসানের শুটিং সেটে উত্তেজিত অবস্থায় যে আচরণ করেছেন, সে কারণে শুটিং সেটে পুলিশ আসা, শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং পরিচালক আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সিনিয়র অভিনেতা ফখরুল বাসার মাসুম ও নির্মাতা আদিফ হাসানসহ ইউনিটের সবার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা অভিনেত্রী চমকের ভুল ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইন্টারভিউতে অভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর চমককে কিছু শর্ত দেওয়া হয়। তবে পরিচালকরা সেটার সঙ্গে একমত হতে চাইছেন না। তারা চাইছেন অভিনেত্রী চমকের নিষিদ্ধ।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে