হবু স্ত্রী ফরচুনেট কিয়ারিকুন্দার সঙ্গে বাগদান হয়ে আছে অনেক দিন ধরেই। হবু স্ত্রীর পড়াশোনার পেছনে তাই বড় অঙ্কের অর্থও খরচ করেছিলেন রিচার্ড টুমউইন (৬৪)। কিন্তু বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর আগেই তাদের বাগদান ভেঙে যায়। মূলত ফরচুনেট কিয়ারিকুন্দাই সেই বাগদান ভেঙে দেন।
তবে পড়াশোনার পেছনে অর্থ ব্যয়ের পর বাগদান ভেঙে দেওয়ায় রিচার্ড টুমউইনকে প্রায় দুই হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য ফরচুনেট কিয়ারিকুন্দাকে নির্দেশ দিয়েছেন উগান্ডার একটি আদালত। সেখানে ফরচুনেট কিয়ারিকুন্দার বিরুদ্ধে সমস্যা এবং মানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টির অভিযোগের কথা উলেস্নখ আছে।
আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, পেশায় রিচার্ড টুমউইন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ফরচুনেট কিয়ারিকুন্দার বাগদানের সময় বাগদত্তার আইন বিষয়ে ডিপেস্নামার জন্য অর্থ প্রদান করেছিলেন রিচার্ড।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে ত্রিশের কোটায় থাকা ফরচুনেট সেই বাগদান ভেঙে দেন। কারণ হিসেবে এ নারী উলেস্নখ করেন, তার পক্ষে একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে বিয়ে করা সম্ভব না।
২৬ জানুয়ারি পশ্চিম উগান্ডার কানুনগুতে রায় ঘোষণার সময় ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস মুকোবি বলেন, যেহেতু বিবাদী বিয়ের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েও বিয়ে করেননি, সেহেতু তার কাছে বাদীর ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য।
এছাড়া, ফরচুনেট কিয়ারিকুন্দাকে তার পড়াশোনার পেছনে টুমউইনের খরচ করা দুই হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেন মুকোবি। সেই সঙ্গে কিয়ারিকুন্দাকে সাধারণ ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও ২৭১ মার্কিন ডলার প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিয়ারিকুন্দা কোনো আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি বা মামলায় অংশ নেননি। মন্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রিচার্ড টুমউইন বলেন, মামলাটি আমার হৃদয়ে চিরতরে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। এক নারীর কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত এবং প্রতারিত হওয়ায় একজন পুরুষ হিসেবে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের কাছে অপমানিত হতে হয়েছে।
তবে উগান্ডার সাবেক নীতিশাস্ত্রমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী মিরিয়া মাতেম্বে দেশটির আদালতের এমন একতরফা রায়ের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা কীভাবে পুরুষদের পক্ষে ঝুঁকে পড়ছে, এটি তার স্বপক্ষে একটি উলেস্নখযোগ্য ঘটনা।