দেশের টেশসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণামূলক কাজ করবে বাংলাদেশ সায়েন্স টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স (বিডিএসটিইএম)। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আইডিয়া শেয়ারিং এবং প্ল্যানিংবিষয়ক একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। তরুণ শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাদানের মাধ্যমে দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিতে কাজ করবে বিডিএসটিইএম ফাউন্ডেশন।
গত ২৩ আগস্ট ভার্চুয়ালি নির্বাচিত ৩৩টি প্রজেক্ট উপস্থাপন এবং পরিকল্পনা প্রদানকারী দলকে পরিচিতি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্সগ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ম্যাক্সগ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা মহামারির এমন দুঃসময়ে দেশের ছেলেমেয়েরা দেশের গঠনমূলক কাজে অংশ নিচ্ছে। তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মতো চিন্তা করছেÑ এটা দেশের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর দিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশকে যে যায়গায় নিতে চেয়েছিলেন আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে তেমন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাব বলে আশা রাখি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চুয়েট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দলসহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের দল নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘তোমরা নিজেদের চিন্তাকে কখনোই সংকুচিত করবে না। যে যেই স্তরেই থাকো না কেন এখনই লক্ষ্য ঠিক করতে হবে এবং সেদিকে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। এবং নিজেদের পিতামাতা ও দেশের প্রতি প্রেমকে সব সময় ধারণ করতে হবে।’
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা টেনে তিনি বলেন, একজন উদ্যোক্তা আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারে সেই দিকটাকে জীবনে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদেরকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গঠনমূলক উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করেন তিনি।
বিডিএসটিইএম জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আল নকীব চৌধুরী বলেন, বিডিএসটিইএম উন্নয়নের শিক্ষা, গবেষণা ও স্কিল ডেভেলপমেন্টের কাজ করেছে এবং আগামীতেও করবে। শিক্ষার্থীরা যে প্রজেক্টগুলো দিয়েছে সেগুলোর সবগুলোই অত্যন্ত সুন্দর এবং অভিনব। যে শিক্ষার্থীরা আজকে নির্বাচিত হয়েছে দেশ তাদের কাছ থেকে অনেক মূল্যবান কিছু পাবে বলে আমি মনে করি। এবং তারাও দেশের মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিডিএসটিইএম-এর জাতীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ড. মঈদুস সামাদ খান তার বক্তব্যে বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রথমবারের এসটিইমফেস্ট আয়োজন করা হলো। বারবার এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই এডুকেশনটা সম্পর্কে জানবে এবং নিজেকে ও দেশকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করতে পারবে।
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (রুয়েট) অধ্যাপক ড. মোতামিম বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ই শুধু নয় বরং স্কুল-কলেজগুলোতেও এই বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
ওয়েবিনারে ভার্চুয়ালি আরও অংশ নেন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (রুয়েট) সাবেক উপাচার্য রবিউল ইসলাম বেগ।
যাযাদি/এস