রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

দস্যুদের হাতে বন্দী নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন

যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:৪০
ছবি সংগৃহীত

১২ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২০ দিনের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও তাদের এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নাবিকদের মধ্যে প্রায় সবাই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। তাদের স্বজনরো উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছেন।

জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে পণবন্দী বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ জন নাবিককে ঈদের আগে মুক্ত করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

ঈদের আগে জিম্মিদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর বের হলেও তা সঠিক নয় বলে জানান এমভি আবদুল্লাহ’র মালিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।

শনিবার দুপুরে কেএসআরএম মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম বলেন, ঈদের আগে পণবন্দীদের মুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দস্যুদের প্রতিনিধির সাথে তাদের প্রতিদিনই কথা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন,‘আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। তবে ঈদের আগে মুক্ত হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পূর্ব অভিজ্ঞাতায় আমরা বলতে পারি- ঈদের আগে পণবন্দীরা মুক্তি পেলেও তারা ঈদের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না।’

কারণ হিসেবে কেএসআরএমের এই কর্মকর্তা বলেন,‘দেশে ফিরিয়ে আনার বেশ কিছু কাজ রয়েছে। সে কাজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে তাদের ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।’

এদিকে, সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে পণবন্দী থাকা জাহাজটিতে মজুদ খাবার পানি ফুরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। পণবন্দী হওয়ার আগে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুদ ছিল জাহাজে। এখন নাবিকদের রেশনিং করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

মালিকপক্ষ থেকে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহকে পণবন্দী করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুদ ছিল। তবে শুকনা খাবার অনেক দিনের জন্য মজুদ রয়েছে।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে