বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মসজিদ নেই, অন্ধকারে-আকাশের নীচে তারাবি আদায়

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৫
আপডেট  : ১২ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩
ছবি সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজার অভ্যন্তরে এমন একটি জায়গা নেই, যেখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি ইসরাইলি সৈন্যরা। দখলদারদের হাত থেকে রেহাই পায়নি মসজিদ ও ইবাদতের স্থানগুলোও।

এমনই একটি স্থান আল ফারুক ওমর মসজিদ। এটি রাফাহ শহরের শাবুরা শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত।

মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেলেও এখানকার বাসিন্দারা সেখানেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে রমজানের প্রথম তারাবির নামাজ আদায় করেছে।

ওমর ফাতহি নামে ওই মসজিদের এক মুসল্লি আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, খোলা আকাশে তারাবির নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তবে ইসরাইলি সৈন্যদের ধ্বংসযজ্ঞের পর তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে ও খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায়ের কারণে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ।

কিন্তু এসব পরিস্থিতিতেও গাজাবাসীকে নামাজ আদায় ও আল্লাহর নিদর্শন প্রদর্শনে বাধা দেয়া যায়নি বলে তিনি মনে করেন। তার মতে- এটি মজলুম এ জনগোষ্ঠীর ধারাবাহিক ধৈর্য ও অবিচলতার প্রমাণ।

‘গোটা আরব ও মুসলিম বিশ্ব পটকা ফুটিয়ে রমজানকে স্বাগত জানাচ্ছে। আর আমরা রমজানকে বরণ করে নিচ্ছি মিসাইলের মাধ্যমে।’- এভাবেই মনের ব্যথা প্রকাশ করেছেন মুয়াজ রাফাত নামে আরেক গাজাবাসী। তিনি জানিয়েছেন, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে পবিত্র রমজান মাসের আগমনেও কারো মুখে হাসি নেই। এমনকি শিশুদের চেহারাও মলিন।

তিনি মুসলিম উম্মাহর প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমরা কিভাবে রমজান উদযাপন করব, অথচ আমাদের সামনে ৩০ হাজার শহীদের লাশ?’

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে