ঢাকা জেলার দোহারে শিখা আক্তার নামে এক নারীকে পাঁচ বছর আগে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তার স্বামী রুহুল আমিনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে শিখার মরদেহ গুমে সহায়তা করায় রুহুল আমিনের বাবা মনোয়ার হোসেন, মা আছমা বেগম ও ভাই মারুফ খান প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সঙ্গে শিখার বিয়ে হয়। ওই বছরের ৩ আগস্ট বিভিন্ন মালামাল দিয়ে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু সেসব মালামাল পছন্দ হয় না শ্বশুরবাড়ির লোকদের। তারা শিখার মা রুনু আক্তারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। রুনু আক্তার তার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরদিন স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যান শিখা।

ওইদিন রাতে মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে অনেকক্ষণ কথা হয় শিখার। ৬ আগস্ট তার বাবা নাস্তা নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। তখন শাশুড়ি আছমা বেগম তাকে জানান, শিখাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রুহুল তার শ্বশুরকে জানান, রাতে শিখার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। শিখার মায়ের তখন সন্দেহ হয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়েকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে।

পরে রুহুল আমিনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৬ আগস্ট বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিখার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবার। এ সময় সিলভারের কলসির সঙ্গে তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। এ ঘটনায় দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

পিনাকীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন

যাযাদি/ এস