ভারত উপহারস্বরূপ বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি টিকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, সবার আগে প্রতিবেশী নীতির অংশ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় ভারত।

খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের কাছে ২০ লাখ ডোজ টিকা হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দোরাইস্বামী। বাংলাদেশের পক্ষে টিকা গ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, 'কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন) চালানটি ভারতের পুনেতে অবস্থিত সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করেছে এবং উপহার দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভারত সরকার তার নিজস্ব কোটা থেকে কিনেছে।'

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনার ধারাবাহিকতায় ভারতে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হওয়ার (১৬ জানুয়ারি ২০২১ শুরু হয়েছিল) এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।

দোরাইস্বামী বলেন, ‘২১ জানুয়ারি একটি যুগান্তকারী দিন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নিজস্ব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে এই ভ্যাকসিনগুলো। বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হিসেবে ভারত এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত। একসাথে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দুই দেশ কর্তৃক ইতিমধ্যে নেওয়া অনেক পদক্ষেপের মধ্যে ভ্যাকসিন উপহার সবশেষ উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সার্ক নেতাদের একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সম্মিলিত ক্ষমতা, দক্ষতা এবং সংস্থান ব্যবহারের মাধ্যমে সহযোগিতার আহ্বান জানান। এর পরপরই সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। বাংলাদেশ থেকে আগত স্বাস্থ্যসেবাদানকারী, প্রশাসক ইত্যাদি পেশাজীবীরা ভারতের শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল ইনস্টিটিউট, যেমন- অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইএমএস) দ্বারা পরিচালিত অনলাইন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণগুলোতে অংশ নেয়।’

ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসা স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের জন্য এআইএমএস, ভুবনেশ্বরে বাংলা ভাষায় আয়োজিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোর্সটি ছিল এক দুর্দান্ত সাফল্য। ভ্যাকসিন সরবরাহকে সহজতর করার জন্য ১৯-২০ জানুয়ারি ভারত সরকার ‘‘ট্রেইন দ্য ট্রেনার’’ নামক একটি দুইদিনব্যিাপী অনলাইন কোর্সও পরিচালনা করেছে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘দুই দেশের এই ধরনের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে মহামারিকে পরাজিত করা হবে এবং আমাদের জনগণের সুবিধার্থে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখা হবে।’

যাযাদি/ এমএস