শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২১ আগস্টে মঞ্চ টার্গেট করে গ্রেনেড ছুঁড়েছিল ইকবাল

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৩৪
আপডেট  : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:১৭

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে মঞ্চকে টার্গেট করে গ্রেনেড ছুঁড়েছিলেন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং এ কথা বলেন র‌্যাবের পরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর আগে রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ইকবালকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, ইকবাল ১৯৯৫ হতে ১৯৯৮ পর্যন্ত মালয়শিয়ায় কাজ করেছেন। দেশে ফিরে এসে তিনি আইএসডি ফোন ও অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। ২০০১ সালে তিনি ঝিনাইদহের স্থানীয় এক জঙ্গি সদস্যদের মাধ্যমে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশে (হুজিবি) যোগ দেন। ২০০৩ সালে মুফতি হান্নান ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সান্নিধ্যে চলে আসেন। ২০০৪ সালে আগস্টে মুফতি হান্নানের নির্দেশে ঢাকায় চলে আসেন এবং গোপন আস্তানা গড়েন।

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানান, মুফতি হান্নানের নির্দেশে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। মুফতি হান্নান হামলা পরিচালনার জন্য তাকে গ্রেনেড দিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, হামলা চলাকালীন সময়ে সে মঞ্চকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়েছিলেন। ঘটনার পর তিনি ঝিনাইদহে পালিয়ে যান।

২০০৮ সালে জঙ্গি ইকবালকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহে অভিযান পরিচালনা করে ধরতে পারেনি র‌্যাব। এরপর ইকবাল ২০০৮ সালে দেশ ত্যাগ করেন। সেখানে তিনি অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হলে ২০২০ সালের শেষ দিকে দেশে আসেন।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত মামলা দুটি এখন দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন

বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ বাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১৯ জন

বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুর রউফ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, মুরসালিন, মুত্তাকিন, জাহাঙ্গীর বদর, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, আবু বকর সিদ্দিক ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মো. ইকবাল, রাতুল আহমেদ, মাওলানা লিটন, মো. খলিল ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন

বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত ১১ জন হলেন মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমীন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ওরফে ডিউক, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, সাবেক আইজিপি শহুদুল হক, সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান, ডিএমপির সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, জোট সরকার আমলের তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান ও সাবেক পুলিশ সুপার রুহুল আমীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে