শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে গণপরিবহন ছাড়া চলছে সব গাড়ি

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৪৭

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনের পর তা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। তবে চলমান এ লকডাউনে বিধিনিষেধ আরোপে গণপরিবহন ছাড়া প্রায় সব ধরনের গাড়ি সড়কে চলতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিনের পুলিশের চেকপোস্টে কড়াকড়ি দেখা গেলেও আজ তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর কোনও কোনও সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপও দেখা গেছে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, গাবতলি, শ্যামলী, আসাদগেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মালিবাগ, মগবাজার, কাকরাইল ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মোড়ে মোরে পুলিশের চেকপোস্ট নেই। কোনও কোনও মোড়ে চেকপোস্ট থাকলেও তাতে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে দুজন আরোহণ করছে এবং সিএনজিতে চারজন থেকে পাঁচজন পর্যন্ত চলাচল করছে। মোটরসাইকেলে দুজন চলাচল করলেও পুলিশ তাদের দেখে অনেকটা নিশ্চুপ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল। এমনকি মোটরসাইকেলে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতেও দেখা যায় অনেক রাইডারকে।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় প্রায় ৩০ মিনিট সরেজমিনে দেখা যায় গত কয়েকদিন যেখানে পুলিশের চেকপোস্টে ছিল সেখানে আজকে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এছাড়াও রাজধানীর কিছু কিছু সড়কে যানজট না থাকলেও কোথাও কোথাও সিগন্যাল লক্ষ করা গেছে। পুরো সড়কজুড়েই রিকশা আর সিএনজির আধিপত্য চলছে। আর সড়কে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কারওয়ান বাজারের একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, ‘লকডাউনে রাস্তায় চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও অনেকে বিনা প্রয়োজনেও রাস্তায় বের হচ্ছেন। আমরা এমন ক্ষেত্রে জরিমানা করছি। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন। তবে জরুরি সেবায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা অবাধে চলাচল করতে পারছেন।’

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসা থেকে রাস্তায় বের হলেই চারিদিকে মানুষ আর মানুষ। এতো মানুষের ভিড় যে তাতে লকডাউন মনেই হচ্ছে না। রিকশা ভাড়া দিতে দিতে গত কয়েকদিনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বাসটাই শুধু চলছে না। বাস চললে অন্ততপক্ষে যাতায়াতে কিছু টাকা খরচ কম হতো।’

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে