শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে :প্রধানমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ০০:০৭
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অপরাধী কোন দলের সেটা বিবেচনায় না নিয়ে তাকে অপরাধী হিসেবে দেখার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধী যে দলের হোক, যে কেউ হোক, অপরাধী অপরাধীই। কাজেই অপরাধী হিসেবে দেখে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে সমাজটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং সেটাই করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১৬, ১১৭ এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ এই যে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হলো- এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানে কারও মুখ চেয়ে না- যারাই অপরাধী, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন, এটাই আমার কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটাকে উন্নত করতে হলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযুক্ত কর্মচারী গড়ে তুলতে চাই, যেন মানুষ তার সেবাটা পায়। সেটা আপনারা দেবেন। এটাই আপনাদের কাজ। 'আপনি চাকরি করেন আপনার মাইনে দেয় গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়, আমি গাড়ি চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন। ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক'- জাতির পিতার দেওয়া ভাষণের এই অংশ উদ্ধৃত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সরকারি কর্মচারীদের ওইভাবে চলার আহ্বান জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমাদের বাড়ির ড্রাইভারকেও ড্রাইভার সাহেব বলতে হতো, আপনি বলতে হতো। আমাদের বাড়ির কাজের লোক কখনো চাকর-বাকর বলে বা হুকুম দিতে পারতাম না। এটা নিষিদ্ধ ছিল। এ সময় সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা, আপনাদের যে মেধা, আপনাদের জ্ঞান, আপনাদের বুদ্ধি, মনন সেগুলো আপনারা কাজে লাগাবেন দেশ ও জাতির সেবায়। এদেশের মানুষ যেন নিরাপদ থাকতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে আর বিশ্ব দরবারে আমরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারি সম্মানের সাথে। সরকারের বিভিন্ন অর্জন ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতোমধ্যে আমরা বুক করে ফেলেছি। ইনশালস্নাহ যখনই শুরু হবে আমরা তখনই বাংলাদেশ আনতে পারবে। তার প্রস্তুতিও আমাদের নিতে হবে। ইতোমধ্যে সেই বিষয়ে আমি নির্দেশনা দিয়েছি যে ভ্যাকসিনটা সংগ্রহ করা, রাখা এবং প্রয়োগ করা। প্রয়োগ করার পর কি কি করণীয় এই বিষয়ে সমস্ত দিকনির্দেশনা আমার দেওয়া আছে। সেটা মেনেই আমাদেরকে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি প্রান্তে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে